আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ২৭ ফেব্রুয়ারি: পঞ্চায়েতে ঢুকে সহায়ককে থাপ্পর মারার অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা কাজ বন্ধ করে বিডিও অফিসে জমায়েত হন। বিডিওর কাছে তারা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতে। ওই পঞ্চায়েতের সহায়ক শান্তিরাম সাহাকে থাপ্পর মারার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দাদপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা সিভিক ভলান্টিয়ার তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে তারিকুল ২০-২৫ টি জন্ম সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। বেশ কিছু সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকটি সার্টিফিকেটে ভুল থাকায় অন্যদিন আসতে বলা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাকি সার্টিফিকেট নিতে পঞ্চায়েতে যান তারিকুল। কিন্তু শান্তিরামবাবু জানিয়ে দেন, এদিন ব্লকের কিছু কাজ থাকায় তিনি দিতে পারবেন না। পরের দিন আসতে বলেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটি হতে হতে শান্তিরামবাবুকে সজোরে কষে থাপ্পর মারেন তারিকুল। এনিয়ে অন্যান্য কর্মীরা ছুটে এলে পঞ্চায়েতে ধুন্দুমার বেঁধে যায়। ঝামেলা থামাতে গিয়ে ঘুষি খান প্রধান রেজাউল করিমও।
শান্তিরামবাবু বলেন, “এদিন বিডিও অফিস থেকে বিধবা এবং বার্ধক্য ভাতার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে সেই কাগজ তৈরি করছিলাম। তাই তারিকুলকে পরের দিন আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে গালিগালাজ করতে করতে থাপ্পর মারেন”। এই ঘটনার পর ব্লকের ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৪ জন কর্মী কাজ বন্ধ করে দেন। বিকেলে তারা বিডিও অফিসে গিয়ে অভিযোগ জমা দেন। রামপুরহাট থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউল করিম বলেন, “শান্তিরামবাবু খুব ভালো অফিসার। যে মেরেছে সেও ভালো ছেলে। কেন এমনটা হল বুঝতে পারছি না। ঝামেলা থামাতে গিয়ে আমাকেও এক ঘুষি খেতে হয়েছে”।
বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পাদক শান্তনু রায় বলেন, “যিনি আইনের রক্ষক, তিনিই একজন সরকারি কর্মীকে মারধর করছেন। এর বিহিত না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। কারণ শাস্তি না হলে এটাই সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়াবে। দিনের পর দিন সরকারি কর্মীদের মারধরের প্রবণতা বেড়ে যাবে”।
যদিও তারিকুল বলেন, “মারধর করিনি। শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে”।
বিডিও দীপান্বিতা বর্মণ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের কপি রামপুরহাট মহকুমা শাসক এবং থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে”।