গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তায় জোর দেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৬ জানুয়ারি:
এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় যাতে কোনও রকম অশান্তি ছড়াতে কেউ না পারে সেদিকে পুলিশ প্রশাসন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সমগ্র গঙ্গাসাগর মেলা থেকে শুরু করে মেলায় আসা যাওয়ার রাস্তা ঘাটকে সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সোমবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপের হালদার চক এলাকায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের এই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সার্বিক কাজকর্ম নিয়ে খোঁজ খবর নেন তিনি।

নতুন বছরের প্রথমেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সফরে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুর পৌনে একটা নাগাদ তিনি আকাশ পথে পৌঁছন কাকদ্বীপের সভাস্থলে। সেখানে একদিকে যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সব দফতরের আধিকারিকরা ছিলেন, তেমনি জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, বিডিও, এসডিপিও, আই সি, ওসিরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন জেলার সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বৈঠক শুরুর প্রথমেই খোঁজ নেন বুলবুল দুর্গত এলাকার। সেখানে সঠিক ভাবে ত্রাণ পৌঁছেছে কি না, কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন কিনা এইসব বিষয়ে। যাতে ক্ষতিগ্রস্থ সব মানুষই সরকারি সাহায্য পান সেই নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি এবারের গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে ও খোঁজখবর নেন তিনি। এবারের মেলাতে যাতে কোনভাবেই কেউ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে না পারেন সে দিকে প্রশাসনকে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আগামী ৮ই জানুয়ারি বামফ্রন্টের ডাকা বনধ সমর্থন করছেন না বলে এদিন প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ বনধের ইস্যুকে সমর্থন করলেও বনধকে কোনভাবেই সমর্থন করছি না। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এর বিরোধিতা করবো। বনধ করলে সরকারের প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়। এমনিতেই সরকার আর্থিক দূরাবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে”। এসবের পাশাপাশি এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে কন্যাশ্রি, স্বাস্থ্যসাথী, ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্প সম্বন্ধেও আধিকারিকদের কাছ থেকে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় এক ঘণ্টা পনেরো মিনিট বৈঠকের পর কাকদ্বীপ থেকে আকাশ পথে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এদিন সন্ধ্যায় কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেন তিনি। রাতে গঙ্গাসাগরেই রাত্রিযাপন করার পর মঙ্গলবার পাথর প্রতিমায় একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেখান থেকে আবার ও ফিরে এসে মঙ্গলবার রাতে গঙ্গাসাগরে রাত্রিযাপন করবেন , মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বুধবার দুপুর নাগাদ আকাশ পথেই তার কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *