আমাদের ভারত, মালদা, ৫ মার্চ: আদিবাসী রীতি অনুযায়ী মালদহ জেলার গাজোলে শুক্রবার প্রায় ৩০০ আদিবাসী যুবক যুবতীর গণবিবাহ হল। এই গণ বিবাহের আয়োজন করেছিল জেলা পুলিশ। রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পের অধীনে অধীনে ২৫ হাজার টাকা করে প্রত্যেক দম্পতিকে সাহায্য করা হয়।
আজ সকাল ১১টা থেকে মালদহের গাজোল কলেজ মাঠে সম্পূর্ণ আদিবাসী রীতি অনুযায়ী এই বিবাহের আসর বসে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ে ছিলেন মালদার আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লকের বিবাহযোগ্য দরিদ্র আদিবাসী যুবক যুবতীদের বিয়ের আয়োজন করতে। জেলা পুলিশকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নিজেই এই গণবিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নবদম্পতিদের উপহার সামগ্রী দিয়ে আশীর্বাদ করবেন। আদিবাসীদের বিয়ে হলেও আর পাঁচটা সাধারণ বিয়ের মতই অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, আদিবাসীদের পক্ষ থেকে নাকি অভিযোগ করা হয়েছিল, কিছুদিন আগে মালদার এই গাজোলে আরএসএসের একটি শাখা সংগঠন আদিবাসীদের বলপূর্বক ধর্মান্তকরণ করে গণবিবাহের আয়োজন করেছিল। এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয় ফলে আদিবাসীরা বিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ঘটনা ঘিরে ধুন্ধুমার আকার নেয় মালদার গাজোল। সেদিকে নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগ নেন, যেসমস্ত আদিবাসী যুবক যুবতী অর্থের অভাবে বিয়ে করতে পারছেন না তাদের গণবিবাহের আয়োজন করা হবে। ফলস্বরূপ জেলা পুলিশের কাছে নির্দেশ আসে বিবাহের আয়োজন করার।