সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৮ জানুয়ারি: বহু প্রতিক্ষীত বাঁকুড়া জেলায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় চালুর দাবি পূরণের পথে। গতকাল বিষ্ণুপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য এলাকা পরিদর্শন করেন এক প্রতিনিধি দল।
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের রিজিওনাল অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে এই দলটি বিষ্ণুপুর শহরের লাইট হাউস এলাকায় জায়গা ও বাড়ি পরিদর্শন করেন। আগামী শিক্ষাবর্ষে এখানে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় চালু হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসীরা। বিষ্ণুপুর শহর সংলগ্ন লাইট হাউস এলাকায় পোর্ট ট্রাস্টের অধীনে থাকা একটি জায়গা ও বাড়ি পরিদর্শন করেন তারা। জায়গা, পরিবেশ এবং সুবিধা সুযোগ দেখে প্রতিনিধি দল খুশি বলেও জানাগেছে। প্রস্তাবিত জায়গা এবং সেখানে থাকা ভবন দেখে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন প্রতিনিধি দল। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। সব ঠিকঠাক চললে চলতি বছর এপ্রিলের মধ্যেই পথ চলা শুরু করবে বিদ্যালয়।
বাঁকুড়া জেলায় রেল, ফুড কর্পোরেশন, এলআইসি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার কার্যালয় থাকলেও এতদিন পর্যন্ত জেলায় কোনও কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ছিল না বলে বাঁকুড়াবাসীর খেদ ছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার ঘোষণা করেছিলেন বাঁকুড়া শহর লাগোয়া একটি জায়গায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় তৈরি করা হবে। কিন্তু, পরবর্তীতে সুভাষ সরকার হেরে যাওয়ায় সেই প্রকল্প চলে যায় বিশ বাঁও জলে। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে সক্রিয় হন। সাংসদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের এই প্রতিনিধি দল বিষ্ণুপুরে আসে। ওই প্রতিনিধি দল বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া পোর্ট ট্রাস্টের একটি জায়গাকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের উপযোগী বলে রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্টেকে ভিত্তি করে এদিন বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া লাইট হাউস মোড় এলাকায় পোর্ট ট্রাস্টের জায়গা পরিদর্শনে আসেন, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে সঙ্গে নিয়ে প্রস্তাবিত জায়গা ঘুরে দেখেন তাঁরা।
অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দিবাকর গুঁইয়ের দাবি, প্রস্তাবিত জায়গাটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের পক্ষে উপযুক্ত। দ্রুত বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, সব ঠিকঠাক চললে চলতি বছর এপ্রিল মাসেই পথচলা শুরু করবে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়।