করোনা নিয়ে চিনা মাস্কের কালোবাজারি বালুরঘাটে, ক্রেতা সেজে এক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার ডিএসপি ধীমান মিত্রের

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৭ মার্চ: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই চিনা মাস্কের রমরমা কালোবাজারি বালুরঘাটে। ক্রেতা সেজে এক বিক্রেতাকে আটক করলেন ডিএসপি সদর ধীমান মিত্র। মঙ্গলবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাটের পাওয়ার হাউস এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই ব্যবসায়ীর নাম সমীরণ হোড়। শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউস এলাকারই বাসিন্দা সে। এদিন বিকেলে এমন কালোবাজারির গোপন খবর পেতেই ডিএসপি সদর ধীমান মিত্র ছদ্মবেশে নিজে ক্রেতা সেজে শহরের পাওয়ার হাউজ এলাকায় একটি দোকানে হানা দেয়। যেখানে চীন থেকে আগত ওই মাস্কগুলি চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ক্রেতা হিসাবে ডিএসপি সদরের কাছে ১০ থেকে ১৫ টাকা মূল্যের ওই মাস্কগুলি ৬০ টাকা দাম চাইতেই হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় বিক্রেতা সমীরণ হোড় নামে ওই ব্যবসায়ীকে। যার পরেই তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে বেশি দামে চায়না মাস্ক বিক্রির কথা স্বীকার করেন ওই ব্যবসায়ী সমীরণ হোড়। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে কোথাও মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি কলকাতার বাগড়ি মার্কেট থেকে ওই সব মাস্ক বেশি দামেই কিনেছিলেন। সামান্য লাভ রেখে তা বিক্রি করছিলেন।

করোনা আতঙ্কে বিশ্ব জুড়ে চলা অস্থির পরিবেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেও জারি হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। রাজ্যের নির্দেশে প্রতিটি জেলাতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিক্রিতে কালোবাজারি বন্ধে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। বিভিন্ন ওষুধের দোকানে দোকানে হানা দিয়ে ব্যবসায়ীদের আগেই সতর্ক করে পুলিশ প্রশাসন। যার পরেও বালুরঘাটের পাওয়ার হাউজ এলাকায় সমীরণ হোড় নামে ওই ব্যবসায়ী মাস্কের কালবাজারি করছিলেন বলে অভিযোগ। যে ঘটনা নিজে প্রত্যক্ষ করতেই ক্রেতা সেজে এদিন ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান ডিএসপি। বাড়ির সঙ্গে লাগানো দোকান ঘরেই বিভিন্ন ওষুধ সহ মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিক্রি করতেন তিনি। যেখানেই হাতেনাতে পাকড়াও হন তিনি। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হলেও পরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

ডিএসপি সদর ধীমান মিত্র জানিয়েছেন, মাস্কের কালোবাজারির খবর পেয়েই তিনি নিজে ক্রেতা সেজে ওই দোকানে গিয়ে দাম জানতে চেয়েছিলেন। বেশি দাম চাওয়াতেই তাকে আটক করা হয়েছে। বিপদকালীন সময়ে এমন অতিরিক্ত দাম নেওয়াতেই তাকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *