পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৩ মে: চিকিৎসক থেকে রাজনীতির ময়দানে। প্রতিনিয়ত তীব্র দাবদাহের মধ্যে ভোট প্রচারের জন্য দিনরাত এক করে প্রচার করতে হচ্ছে। ভোট প্রচারে বেরিয়ে তীব্র দাবদাহের প্রধান কারণ হিসেবে গাছের সংখ্যা কমে যাওয়াকে উপলব্ধি করেছেন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডঃ প্রণত টুডু। তাই সাধারণ মানুষকে গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়ার জন্য শুক্রবার দুপুরে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক সংলগ্ন এলাকায় বৃক্ষরোপণ করেন প্রার্থী। তিনি প্রতিবছর কুড়ি হাজার করে মোট এক লক্ষ গাছ লাগানোর টার্গেট নিয়েছেন পাঁচ বছরের মধ্যে।
তিনি এদিন বলেন, “আজ বৃক্ষ রোপনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিন দিন যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ছে সেই দিকে তাকিয়ে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের ঝাড়গ্রাম এলাকায় দশ বছর আগে যে পরিমাণে গাছ ছিল বর্তমান সময়ে অনেক গাছ কমে গিয়েছে। গাছ কাটা হচ্ছে, গাছ ঠিকমত রোপন করা হচ্ছে না। সেই কারণেই দিনের পর দিন গাছের সংখ্যা কমে চলেছে। গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের আজকের এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা একটি টার্গেট নিয়েছি আগামী পাঁচ বছরে এই ঝাড়গ্রাম লোকসভায় আমরা বৃক্ষরোপণ করব। প্রতিটি বিধানসভায় প্রতিবছর তিন হাজার করে গাছ লাগাবো। যাতে আমরা পাঁচ বছরের মধ্যে এক লক্ষ গাছ রোপন করতে পারি। বিশেষ করে ঔষধি গাছের পাশাপাশি যে সমস্ত গাছগুলি হারিয়ে গিয়েছে সেই সমস্ত গাছগুলির উপর বেশি জোর দেওয়া হবে। যাতে আগামী দিনের প্রজন্মের কাছে গাছ চিনতে কোনো অসুবিধা না হয়। কেবলমাত্র আমরা গাছ রোপণ করব না গাছগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে বড় করে তুলব।”
ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি বিধানসভা রয়েছে। যথা- ঝাড়গ্রাম, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম, বিনপুর, বান্দোয়ান, গড়বেতা ও শালবনি। এই সাতটি বিধানসভায় প্রতিবছর ৩০০০ করে বৃক্ষরোপণ করে পাঁচ বছরের মধ্যে ১ লক্ষ বৃক্ষ রোপনের টার্গেট গ্রহণ করেছে বিজেপি প্রার্থী। ঝাড়গ্রাম অরণ্য সুন্দরী নামে পরিচিত। কিন্তু উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে দিনের পর দিন যেভাবে সবুজ হারিয়ে যাচ্ছে তার ফলে যথেষ্ট চিন্তিত পরিবেশবিদরা। তীব্র দাবদাহে সমগ্র বাংলার পাশাপাশি গরমে হাঁসফাঁস করছে ঝাড়গ্রাম ৪৩° থেকে ৪৫° সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত রয়েছে। যার ফলে ভোট প্রচারে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের। সকাল এবং বিকেল এই দুটি সময়কেই প্রচারের জন্য বেছে নিচ্ছেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাই।