সবার জন্য দুয়ার খোলা বিজেপির : দিলীপ ঘোষ

আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৭ জানুয়ারি: ভারতীয় জনতা পার্টি সবাইকে নিয়ে চলতে চায়, কারণ এই পার্টি হল জনতার পার্টি। ঝাড়্গ্রাম জেলা বিজেপি আয়োজিত বুধবারের সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একথা বলেন। এদিনের সভায় তিনি রাজ্য সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তর্জনী তুলে দিলীপ ঘোষ বলেন, দিদিমণি বলেছিলেন জঙ্গলমহল হাঁসছে পাহাড় হাঁসছে। কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা নির্বাচনে এলাকার মানুষ যোগ্য জবাব দিয়েছেন। ডুয়ার্স হারিয়েছেন, জঙ্গলমহল হারিয়েছেন। এবার গোটা রাজ্য যাতে হারিয়ে ফেলেন তার জন্য বালু মাটির শুভেন্দু আর লালমাটির আমরা জোট বেঁধেছি। যাতে গঙ্গার এপাশে তৃণমূল বউনি পর্যন্ত করতে না পারে।

দলে যোগদান প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, সবাই আসছেন দলে। ভারতীয় জনতা পার্টি জনতার পার্টি, সকলের পার্টি। পরিবর্তনের জন্য সবাইকে আমাদের চাই। সারাদেশে সবাইকে নিয়েই আমাদের পার্টি। আগে আমরা মাত্র কয়েকজন ছিলাম। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে ভারত গঠন করতে চায়। তাই পার্টি বড় হয়েছে। মানুষ আমাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। আমরা বলি ভারতের আদর্শ শ্রীরাম। তার মন্দির নির্মাণ হচ্ছে। মন্দির নির্মাণে আমি ৫১ হাজার টাকা দিয়েছি। সেই জয় শ্রীরাম শুনলে দিদিমণির মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল কোনও ভদ্রলোকের পার্টি নয়। সম্মান ও আত্মমর্যাদা যারা বোঝেন তারা সবাই চলে আসছেন। তৃণমূলে কোনও সম্মান নেই ওটা একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গেছে। কোথাকার কে ভাইপো সেই কোম্পানি সামলাচ্ছে। সবাইকে প্রতারণা করছে। বেকার যুবক যুবতীরা প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে। চাকরি নেই বলে গুজরাট, দিল্লি, পাঞ্জাব চলে যেতে হচ্ছে তাদের। আর এদিকে দিদি বলছেন এগিয়ে বাংলা। দিলীপ ঘোষ বলেন, আগামী দিনে পরিবর্তন আনতে হবে। সবাইকে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করার সুযোগ দিতে হবে।

দিলীপ ঘোষ তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাটমানি নিয়ে সংসার চালানোতে কোনও সম্মান নেই। ওটা কোনও জীবন নয়। ওই ভাবে জীবন-যাপন ছেড়ে আমাদের দলে আসুন, আত্মসম্মানের সঙ্গে কাজ করুন। তিনি বলেন, ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে বিহারের থেকে একজন টিউটর এনেছেন দিদিমণি। তিনি পিসি ভাইপোর ক্লাস নিচ্ছেন প্রতিদিন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হবে না। নির্বাচনের ফলাফলে দেখতে পাবেন সব ভোকাট্টা। দিলীপ ঘোষ বলেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেন শাড়ি পরা হিটলার। তিনি সুশাসন দেবেন কি করে? বিভিন্ন খালি পদে নিয়োগ করে, শিল্প-কারখানা গড়ে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কাজের ব্যবস্থা তিনি করতে পারেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *