সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ১৮ জানুয়ারি: পুর এলাকায় সংরক্ষণের খসড়া তালিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় শাসক তৃণমূল, বিজেপি সব দলই। খসড়ার প্রতিবাদ লিখিতভাবে জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে সবাই। বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর অভিযোগ শাসক দলের হয়েই কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে খসড়া তালিকা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের একাংশ রাজ্য নির্বাচন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সংরক্ষণের গেরোয় পড়েছেন পুরুলিয়া পৌরসভার পৌরপ্রধান শামিম দাদ খান। তাঁর ২২ নম্বর ওয়ার্ড এবারের খসড়া তালিকা অনুযায়ী মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত।
অন্যদিকে, রঘুনাথপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান মদন বরাটও সংরক্ষণের গেরোয় পড়েছেন। তাঁর ৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। মদন বাবু এদিন বলেন, ‘খসড়া নিয়ে অভিযোগ জানাব। তার পর সিদ্ধান্ত নেব।’
এদিকে, খসড়া তালিকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে জেলার তিনটি পুরসভার বর্তমান কাউন্সিলারদের মধ্যে। অধিকাংশ অবশ্য ‘সেফ জোনে’ থেকে এদিন থেকেই ওয়ার্ডে জনসংযোগ বাড়াতে শুরু করে দিয়েছেন। পুরুলিয়া পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবার তপসিলি জাতিভুক্ত মহিলার জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখার্জির। তিনি এদিন জানান, ‘খসড়া তালিকা হাতে পেতেই রাজ্য নির্বাচন দফতরে গিয়ে আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলি। কিসের ভিত্তিতে সংরক্ষিত খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই নিয়ে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এদিকে, পৌরসভাগুলির সংরক্ষিত খসড়া প্রকাশ হতেই ভাইরাল হয়ে যায়। পুরুলিয়া শহরে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু গিয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যে চা-এর আসরে এই নিয়ে চলছে জোর যুক্তি-তর্ক।