আমাদের ভারত, ৪ এপ্রিল: দিল্লিতে এক টুকরো প্রতিবাদী বাংলার ছবি তুলে ধরলেন বিজেপি সাংসদসহ দলের নেতা কর্মীরা। রাজ্যের দুর্নীতি সহ হিন্দু বিরোধী ইস্যুতে রাজধানীতে পথে নামল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রাজ্য সরকারের সরকারি অতিথিশালা বঙ্গভবন ঘেরায় চেষ্টা করে বিজেপি। রাজ্যে হিন্দুদের উপর একের পর এক নির্যাতনের ঘটনা সহ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বাংলার বিজেপি সাংসদরা।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ের পরে গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এছাড়াও রাজ্যে সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে দিল্লিতে বঙ্গভবনের সামনে বিজেপি সাংসদরা শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান। রাজ্যে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ দেখানোর কথা দু’দিন আগেই ঘোষিত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়, তারপরে এই বিক্ষোভে নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুও জুড়ে যায়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, শমীক ভট্টাচার্য, খগেন মুর্মুরা এদিন গ্রেফতার হন। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারের দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে বরাবর সরব বিজেপি। সেই আবহে সম্প্রতি মোথাবাড়ির ঘটনায় বাংলায় হিন্দু নিপীড়নের প্রতিবাদে দিল্লিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় পদ্ম শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে প্রতিবাদ জানায় সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
বিক্ষোভে মমতার বিরুদ্ধে হায় হায় স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। মোথাবাড়ি কান্ডের প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড দেখা যায় সুকান্তদের হাতে। মমতা ব্যানার্জি গদি ছাড়ো স্লোগান ওঠে। বঙ্গভবনে বিক্ষোভের আগে বাংলায় চাকরি বাতিলের ইস্যু সামনে চলে আসে। ফলে এদিনের বিক্ষোভে তৃণমূল সরকারের নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজধানীর বুকে সরব হন তারা।
২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে থাকা ২৬ হাজার জনের চাকরি বৃহস্পতিবার বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি বলে এই রায় দিয়েছে আদালত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যারা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালে এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন তারা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন বলেও জানিয়েছে আদালত।