সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৫ জুন: আমফান ও ঘূর্ণিঝড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ আজও গৃহহারা। ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের ত্রাণ নিয়ে দলবাজি করছে তৃণমূল। থানায় অভিযোগ করতে গেলে বিজেপির অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি কর্মীদের বেছে বেছে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ অবস্থান করল বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এদিন প্রায় তিন ঘন্টা যশোররোড অবরোধ করে চলে এই বিক্ষোভ।
শুক্রবার সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের নেতৃত্বে গাইঘাটা থানার গেটের সামনে যশোর রোডে বসে পড়েন কর্মীরা। অবরোধ বিক্ষোভের ঘটনায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও সাধারণ মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদকে সমর্থন করেছেন বলে পথচারিরা জানান। সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন” গাইঘাটা থানার পুলিশ তাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করছে। মানুষের দুঃসময়ে তাদের কাছে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে তৃণমূলরা ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি করছে। প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ উল্টে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করে জেলে ঢোকাচ্ছে। বেছে বেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দিচ্ছে। তারই প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ অবস্থান।
এদিন বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সহ শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক। বিধায়ক বিশ্বজিত দাস বলেন, শুধু গাইঘাটা থানা নয়, গোটা বনগাঁ মহকুমা জুড়ে পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করছে। তৃণমূলের নেতাদের কথায় কাজ করছে পুলিশ। তিনি বলেন, আন্দোলন শুরু হয়েছে। পুলিশ যদি এই অত্যাচার বন্ধ না করে, আমদের এই আন্দোল চলবে। এদিন গাইঘাটা থানার সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে৷ যদিও প্রশাসন এব্যপারে কিছু বলতে চায়নি।