সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৬ মার্চ: বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি ঢাকতে ও প্রমাণ লোপাট করতেই পঞ্চায়েতে চুরির নাটক করা হচ্ছে। এই বিস্ফোরক দাবি করে আজ হীড়বাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ শেষের মুখে গ্রাম পঞ্চায়েতে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাজনৈতিক তরজা ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য ও নথি লোপাট করতেই এই চুরির নাটক বলে বিজেপির অভিযোগ। যদিও বিজেপির এই অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। তাদের দাবি, একটা নিছক চুরির ঘটনা নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করছে বিজেপি।
বিক্ষোভরত বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, এই অর্থবর্ষ শেষ হতে বাকি আর মাত্র ক’টা দিন। অডিটের আওতায় চলে যাবে সব নথি। তাই দুর্নীতি চাপা দিতে সুপরিকল্পিত ভাবে তার ঠিক আগেই সোমবার পঞ্চায়েতে চুরির ঘটনা দেখানো হচ্ছে। অভিযোগ, সোমবার পঞ্চায়েতে ঢুকে আলমারি ভেঙ্গে নথিপত্র তছনছ করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। গ্রাম পঞ্চায়েতে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতিদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার পথে নামে বিজেপি।
বিজেপি কর্মীদের দাবি, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হয়েছে তৃণমূল পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখন অর্থবর্ষের শেষে সেই চুরি ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই তথ্য ও নথি লোপাট করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করে এই চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার করলেই গোটা বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। এটা দ্রুত ও সঠিক ভাবে করতে হবে বলে সরব হন বিজেপি নেতা গৌতম মণ্ডল। এই দাবিকে সামনে রেখেই এদিন গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।
বিজেপির এই দাবি সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে তৃণমূলের হীড়াবাঁধ ব্লকের সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ মাঝি বলছেন, “পঞ্চায়েতে চুরির ঘটনা নিয়ে বিজেপি অহেতুক রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।