পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৬ নভেম্বর: সমাজবিরোধী আর পুলিশের সহবস্থান এখন গঙ্গারামপুরে। দলীয় কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর। বুধবার গঙ্গারামপুরের সুকদেবপুর এলাকার বাঁশপাড়া হোসেনপুরের বিজেপির বুথ সভাপতি স্বাধীন রায়ের দেহ উদ্ধার হয়। যে ঘটনা নিয়ে খুনের অভিযোগ তোলে তার পরিবার। একইভাবে সেই ঘটনার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিদের হাত রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও। বৃহস্পতিবার মৃত সেই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়েই পুলিশকে তুলোধনা করেছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
বিগত কয়েকদিনে গঙ্গারামপুরে লাগাতার খুনের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এমন একটি এলাকা যেখানে কোনও আইনশৃঙ্খলাই নেই। সমাজবিরোধী আর পুলিশ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকে এখানে। তারা একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে এখানে। কিন্তু জনগণের শক্তির কাছে আতঙ্ক পরাজিত হবে এখানে।
যদিও ওই বিজেপি নেতার অভিযোগ উড়িয়ে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশের দাবি, দুইটি খুনের ঘটনারই কিনারা করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। দুজনকে আটক করে এই ঘটনারও তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
এদিন সকালে মালদা থেকে প্রথমে গঙ্গারামপুরের মহারাজপুর এলাকায় আসেন বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু। যেখান থেকে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন কে নিয়ে সুকদেবপুরের বাঁশপাড়া হোসেনপুর গ্রামে যান তিনি। হাজির হয়েছিলেন কয়েকশো বিজেপি নেতা কর্মীও। মৃত স্বাধীন রায়ের পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন ওই রাজ্য নেতা। হাতের কাছে দলের নেতৃত্বদের পেয়ে স্বামীর খুনের প্রকৃত তদন্তের দাবি জানান মৃতর স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকেরা। এরপরেই তাদের সঙ্গে নিয়ে গঙ্গারামপুর থানা ঘেরাও করে চলে তুমুল বিক্ষোভ। স্বামীর খুনের ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবি জানিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন মৃতের স্ত্রী বেলি রায়।
বেলি রায় বলেন, তাঁর স্বামী নেশা করতো না। বিজেপি করায় মাঝেমধ্যেই হুমকি মিলত। ষড়যন্ত্র করে তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার সঠিক বিচার চান তাঁরা।
সায়ন্তন বসু বলেন, তাদের বুথ সভাপতি ছিলেন স্বাধীন রায়। তার স্ত্রী বেলিও তাদের দলের একনিষ্ঠ কর্মী। এলাকায় সংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির কারনেই তাকে পরিকল্পনা করে তৃণমূলীরা খুন করেছে। পুলিশের ভুমিকাও এক্ষেত্রে সঠিক নয়।
বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, বুথ সভাপতিকে খুন করা হয়েছে। ঘটনা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। দলের তরফে পরিবারটিকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।