আমাদের ভারত, ১৩ মার্চ: হিন্দু ধর্ম শেখানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগল বিজেপি। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির একটি এক্সবার্তা শেয়ার করেছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
ওই বার্তায় লেখা, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন হিন্দু ধর্ম শেখাবেন? ধিক্কার!
– যিনি সরস্বতী বন্দনা করতে পারেন না, তাঁর কাছ থেকে হিন্দু ধর্ম শিখতে হবে?
– যিনি মহররমের জন্য দুর্গাপুজোর বিসর্জন বন্ধ করেন, তিনি হিন্দুদের ধর্ম শেখাবেন?
– যিনি রেড রোডে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, “আমি কাফের নই”, তিনি আমাদের ধর্ম বোঝাবেন?
– যিনি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলেন, অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া অন্য ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না, তিনি হিন্দু ধর্ম বোঝানোর দুঃসাহস দেখাচ্ছেন?
– যিনি রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দেন, পুলিশকে নির্দেশ দেন অনুমতি না দিতে, তিনি হিন্দু ধর্ম শেখাবেন?
– যিনি দুর্গাপুজোর আগে, পিতৃপক্ষেই পুজোর উদ্বোধন করেন, তিনি আমাদের রীতি-নীতি শেখাবেন?
– যিনি পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানিয়ে ছেড়েছেন, তিনি আমাদের ধর্ম নিয়ে জ্ঞান দেবেন?
– যিনি মুসলিম তোষণে এতটাই মগ্ন যে মসজিদ-মাদ্রাসার জন্য কোটি কোটি টাকা বিলি করেন, অথচ হিন্দু মন্দির-মঠ-আশ্রমের দিকে ফিরেও তাকান না, তিনি হিন্দুদের ধর্ম শেখাবেন?
এই ভণ্ডামি আর চলবে না মাননীয়া!
মানুষ আপনাকে চিনে ফেলেছে, আপনার “বিশেষ ধর্মপ্রেম” এখন আর গোপন নেই!
হিন্দু ধর্ম আপনাদের দয়া-দাক্ষিণ্যের উপর টিকে নেই, যুগে যুগে অত্যাচারের বিরুদ্ধেও টিকে থেকেছে, ভবিষ্যতেও থাকবে!”
প্রসঙ্গত, বিধানসভায় বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি-কে তোপ দেগে বলেন, ‘ধর্মের নামে জালিয়াতি করবেন না। বিজেপি নয়, হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করবে তৃণমূলই। বিরোধী দল মানেই বিধানসভার মধ্যে রোজ ভাঙ্গচুর, এটা হতে দেব না। আমাদের দেশ ধর্মনিরপেক্ষ। এখানে সবাই নিজের ধর্মাচরণ করেন। আপনারা সরস্বতী পুজো নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। আপনারা ধর্মীয় কার্ড খেলেন। সব থেকে বড় ধর্ম মানবিকতা। আপনাদের হিন্দু ধর্ম রামকৃষ্ণ – বিবেকানন্দের ধর্ম নয়। এটা রাজ্যকে ভয়ানক দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইরাকে যান, সেটা কোন ধর্মের দেশ? আপনারা জানেন না বাংলাদেশের কত হিন্দুকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি?”