টিটাগড়ে মণীশ খুনের সাক্ষী বিজেপি কর্মীকে মারধর, তৃণমূলের পার্টি অফিসে পাল্টা হামলা

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২১ ডিসেম্বর: সোমবার সকালে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী বিজেপি কর্মী দীপু সিংয়ের উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হল দুষ্কৃতীরা, মারধর করা হয় দীপু সিংকে। ঘটনায় জখম বিজেপি কর্মী দীপু সিংকে ভর্তি করা হয়েছে ব্যারাকপুর বিএনবসু মহকুমা হাসপাতালে। সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে টিটাগড় পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শহীদ ভগৎ সিং ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকালে বিজেপি প্রভাবিত ভগৎ সিং ক্লাবে চড়াও হয় কয়েক জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। তারা ওই ক্লাবের মধ্যে ভাঙ্গচুর চালায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বিজেপি নেতা রাজু সাউ বলেন, “হামলাকারীরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতী। ওরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের কর্মী দীপু সিংকে আক্রমন করে, বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে দীপু সিংকে জখম করে দেয়। ওই বিজেপি কর্মী বর্তমানে ব্যারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আমরা টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। ওই দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে, এই এলাকায় বিজেপি করলে তার এরকম অবস্থা হবে। ওই দুষ্কৃতীদের পুলিশ অবিলম্বে গ্রেপ্তার করুক, না হলে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।

টিটাগড়ের এই ভগৎ সিং ক্লাবের সভাপতি ছিলেন নিহত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা। এদিকে ওই বিজেপি কর্মীর উপর হামলার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে টিটাগড় পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে। বিজেপি কর্মীরা এরপর একজোট হয়ে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর চালায়। এই ঘটনার পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

টিটাগড় পৌরসভার পৌরপ্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, “ওদের দলীয় কোন্দলে আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙ্গচুর করেছে। আমরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। ওরা যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ করেছে, তার কোনও সত্যতা নেই।” টিটাগড় থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে টিটাগড়ের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনার জেরে এলাকায় চলছে পুলিশি টহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *