আমাদের ভারত, কলকাতা, ১৯ নভেম্বর: অশরীরীরা আছেন কি নেই, সেই নিয়ে যুক্তি তর্কের লড়াই দীর্ঘদিনের। কিন্তু এরই মধ্যে জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘দাদাগিরি’-র মঞ্চে ভূতের অস্তিত্ব প্রমাণ পাওয়ার কথা বললেন এক প্রতিযোগী। দীর্ঘদিন ধরে যন্ত্রপাতি দিয়ে বিজ্ঞান নির্ভরতার পথে এগিয়ে সেই প্রমাণ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। আর এভাবে ‘ভূত’-এর অস্তিত্ব সকলের সামনে বলার পর সেই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে বিপদে পড়লেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরাই। গণমাধ্যম ব্যবহার করে পরিকল্পিত ভাবে অবৈজ্ঞানিক ভৌতিক আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে, এই অভিযোগে সোজা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজ্ঞান মঞ্চ।
শনিবার ১৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ন’টায় জি বাংলায় সম্প্রচারিত বহুল জনপ্রিয় শো ‘দাদাগিরি আনলিমিটেড (সিজন ৮)’ ভূতের অস্তিত্ব দাবি করেন ওই প্রতিযোগী তরুণী। তিনি পেশায় প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর। তিনি অনেকদিন ধরেই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। তিনি দাদাগিরির মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানান, তাদের ৬ জনের একটি দল গা-ছমছমে পরিবেশে গিয়ে একরাশ যন্ত্রপাতি নিয়ে অশরীরীদের অস্তিত্ব খোঁজেন। এ নিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি অভিজ্ঞতার কথাও বলেন। সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও নিজের এক রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা বলেন।
আর এখানেই আপত্তি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। তাদের দাবি, এমন একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান থেকে এভাবে অলৌকিক বিষয়কে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা অবৈজ্ঞানিক এবং সংবিধান বিরোধী। বিজ্ঞান মঞ্চের এক সদস্য সন্তোষ শর্মা জানিয়েছেন, ভারতীয় সংবিধানের ৫১ এ এইচ ধারা দেশবাসীর মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা ও যুক্তিবোধ তৈরির কথা বলেছে। আর অনুষ্ঠানে ঠিক তার বিপরীত কাজ হয়েছে। সেই কারণেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।