সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৯ জানুয়ারি: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে দলীয় কর্মীদের সজাগ থাকার বার্তা দিলেন বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়ক তথা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অমরনাথ শাখা। বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়তে পারে, এবিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।বিশেষ করে আমাদের দলীয় কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গে এভাবে সরব হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের মাঝডিহায় দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজেপি বিধায়ক দলের কর্মীদের এবিষয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশে প্রবেশ করছে। এমনকি ভোটার কার্ড তৈরি করে আস্তানা গেড়েছে বলে তার কাছে খবর রয়েছে। তার বক্তব্য, বাংলাদেশের সীমান্ত জেলাগুলিতে ব্যাপক নজরদারি রয়েছে।অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে আটক করা হচ্ছে। তাই সীমান্তবর্তী জেলাগুলি আর অনুপ্রবেশকারীদের কাছে নিরাপদ নয়। তাই তারা বাঁকুড়ার মত সীমান্ত দূরবর্তী জেলাগুলিকে বেছে নিয়েছে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে। তিনি বলেন, এলাকায় নতুন মুখ, অচেনা মানুষ দেখলেই তার নথি যাচাই করে নিতে হবে।
এই প্রেক্ষিতে উল্লেখ্য, রাজ্যে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তাল সীমান্তবর্তী জেলাগুলি। অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অশান্তির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। সীমান্তের জেলা না হলেও বাঁকুড়া জেলাতেও ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশকারীরা প্রবেশ করছে। তেমনটাই মনে করছেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশে বাংলাদেশিরা ভোটার কার্ড তৈরি করে জাঁকিয়ে বসছে। একইসঙ্গে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগেও এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন বিধায়ক। তাঁর দাবি, ঝাড়খণ্ডেও ঢুকছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। তারপর কৌশলে আদিবাসীদের বিয়ে করে তাদের জমি-জায়গা হাতিয়ে নিচ্ছে। ওন্দার বিজেপি বিধায়কের এমন বক্তব্য সামনে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও তাঁর দাবিকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের দাবি, বিধায়কের ওই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য করে ওই বিধায়ক আসলে খবরের শিরোনামে উঠে আসতে চাইছেন বলে কটাক্ষের সুরে জানান।