আমাদের ভারত, ৮ জুলাই: “বাংলার ১২টা বেজে গিয়েছে। জানিনা, বাঙালি তা কবে বুঝবে।” জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থার সমীক্ষার দুটি রিপোর্টের নজির দিয়ে সোমবার এই অভিযোগ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, “আজ আপনাদের পশ্চিমবঙ্গের করুণ অবস্থার কথা দেখাবো। এরাজ্যে সরকারি চাকরি নেই, বড় তেমন কল কারখানা নেই, পরিষেবা ক্ষেত্রে বৃহৎ সংস্থাগুলিতে মোটা মাইনের চাকরি নেই।
ছিল কি? ছিল ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ছোট ছোট ব্যাবসা। যেগুলি করার জন্য সরকারের কাছ থেকে তেমন কোনও অনুমোদনও নিতে হয় না। পশ্চিমবঙ্গের বেকারদের এমন ছোট ছোট ব্যবসাতেই কাজ জুটত। কেউ বাবার অবসরের টাকায় একটা দোকান দিয়েছে, জমি বিক্রি করে শহরে এসে একটা মোবাইলের বা খাবারের দোকান করেছে, লোন নিয়ে একটা কাঁথাস্টিচের শাড়ি বানানোর ব্যবসা করেছে, সেলুন করেছে, মাছ বিক্রি করছে ইত্যাদি। এতেই পেট চলছিল বাঙালির।
এ বছর জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থার যে সমীক্ষা এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় এ রাজ্যে এই ধরনের দোকানের সংখ্যাও কমে গিয়েছে। যার মানে, সরকারি চাকরি, বেসরকারি সংস্থায় মোটা মাইনের চাকরি, কারখানার কাজ তো ছিলই না, এবার শাড়ির দোকান, ওষুধের দোকানেও আর কাজ জুটছে না।
২০১৫-১৬ সালের তুলনায় ২০২২-২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে ৩০ লক্ষ বেকারের কাজ চলে গিয়েছে বা কমে গিয়েছে। এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় অবদান। শাসকের অপদার্থতার জন্য ঘরকুনো বাঙালির ঘরের কোনায় দোকানের কাজও চলে যাচ্ছে। কারণ দোকানও আর চলছে না, দোকান তখনই চলবে যখন তৃণমূলী চক্রের হাতেই না, পয়সা থাকবে সাধারণ মানুষের হাতে। রোজগার করবে সাধারণ মানুষ। যা তৃণমূলের আমলে তলানিতে।”