Pakistan, India, পাকিস্তানের সাহায্য নিয়ে ভারতকে হেনস্থা করার পরামর্শ বাংলাদেশের অধ্যাপকের

আমাদের ভারত, ৩০ নভেম্বর: ভারতের কাছ থেকে একের পর এক সাহায্য নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরেও কৃতজ্ঞতার বদলে একের পর এক ভারত-বিদ্বেষের ছবি ধরা পড়েছে। সেই ঘৃণা এতটাই বেশি যে ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননা করতেও পিছপা হয়নি বাংলাদেশ। বরং আরো একধাপ এগিয়ে ভারতকে ছোট করতে পাকিস্তানের সাহায্য নেওয়ার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছে বাংলাদেশ।

ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর শহিদুজ্জামানের একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে নিন্দার মুখে পড়েছে। ভিডিওটিতে তিনি ভারতকে আটকানোর জন্য পাকিস্তান থেকে‌ জে-সেভেন যুদ্ধবিমান কেনা এবং ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী আন্দোলনকে সমর্থন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের অধ্যাপক পাকিস্তানে যৌথভাবে উৎপাদিত চিনের ডিজাইন করার জে-সেভেন জেটকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফ থার্টি ফাইভের সমকক্ষ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। বাংলাদেশকে তিনটি স্কোয়ারডন কেনার পরামর্শ দিয়েছেন।

অধ্যাপক বলেছেন, যদি ভারত দেখে যে, জে-সেভেন বাংলাদেশের বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে, তবে তারা ভয় পেয়ে কিছু হটবে। অধ্যাপক আরো বলেছেন, মণিপুর, মিজোরাম সহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে চলা অস্থিরতার সুযোগ বাংলাদেশের নেওয়া উচিত। এই উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির বিদ্রোহীদের সমর্থন করা উচিত বলে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, মণিপুর এবং মিজোরাম ইতিমধ্যেই জ্বলছে, যদি অসমের লোকেরা তাদের সঙ্গে যোগ দেয় তাহলে আমাদের এই সুযোগ নিতে হবে (এই ভিডিও সত্যতা যদিও আমাদের ভারত যাচাই করেনি)।

প্রসঙ্গত,বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মাটিতে পাতা হয়েছে ভারতীয় পতাকা। সেই পতাকায় পা দিয়ে মাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশ করছে শিক্ষার্থীরা। একটি স্কুলেও এই একই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ইতিমধ্যে এর প্রতিবাদে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় সামিল হয়েছে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা। কলকাতার জে এন রায় হাসপাতাল স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা বাংলাদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা দেবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় একই মন্তব্য করেছেন চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সাহা। প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বিতর্কিত লেখিকা তাসলিমা নাসরিন ও পশ্চিমবঙ্গের কবি শ্রীজাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *