আমাদের ভারত, ২৬ এপ্রিল:
দ্বিতীয় দফায় দেশের ৮৮টি আসনের মধ্যে রাজ্যে তিনটি আসনে ভোট চলছে। তার মধ্যে রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কেন্দ্র বালুরঘাট। আজ সকাল থেকেই এই কেন্দ্রে একাধিক বুথ উত্তপ্ত হয়েছে। কখনো তপন বিধানসভার পতিরাম বুথ উত্তপ্ত হয়েছে তো কখনো বালুরঘাট শহরের২২ নম্বর ওয়ার্ড। সকাল থেকেই নিজের কেন্দ্র জুড়ে ছুটে বেড়াতে দেখা গিয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে। তবে তাঁর অভিযোগ, তাঁর কেন্দ্রে এড়িয়া ডমিনেশন হতে দেরী হবার কারণে তৃণমূলের তরফে বিভিন্ন এলাকায় হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী, সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরো আগে আসার দরকার ছিল। তাঁর অভিযোগ, গঙ্গারামপুরে বিজেপি এজেন্টদের আটকানো হয়েছে। ইটাহারে বিজেপি সমর্থকদের ভয় দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট শুরু হতেই গঙ্গারামপুরের নাড়ুই বুথে ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সুকান্তবাবু বলেছেন, সঠিকভাবে এরিয়া ডমিনেশন হয়নি বলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ইটাহারে বেশ কয়েকটি জায়গাতেও ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।
অন্যদিকে, কুশমন্ডির উদয়পুরে ১৪১ নম্বর বুথে ইভিএম খারাপের খবর আসে। সেখানে ভোট শুরু হতে অনেকটা দেরি হয়। ভোট শুরুর এক ঘন্টার মধ্যে বালুরঘা, রায়গঞ্জ মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে ৬০টি অভিযোগ জমা পরেছে বলে খবর।
এরপর তপন বিধানসভার পতিরাম বুথের সামনেই সম্মুখ সমরে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি তৃণমূল। বিজেপির এজেন্টকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পেয়ে সুকান্ত সেখানে পৌছালে তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল সমর্থকরা, পাল্টা তেড়ে যান সুকান্ত মজুমদার।
পতিরাম এলাকার ১০০ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী গেলে তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা। তখনই তেড়ে যান সুকান্ত। পরিস্থিতি ধন্ধুমার হয়। তৃণমূল কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। গোটা ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। সুকান্তর অভিযোগ, ভোট কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিয়েছেন তৃণমূলের কর্মীরা, বিজেপি মহিলা কর্মীদের উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে। তাঁর দাবি, বুথ দখল করতে এসেছিল তৃণমূলের একাধিক কর্মী, সেই সময় পুলিশও তাদের সাহায্য করেছে।
অন্যদিকে, বালুরঘাট শহরে মহিলা বিজেপি কর্মীকে সপাটের চর কষানোর অভিযোগ উঠেছে মহিলা তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বালুরঘাটের পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, ভোট দিতে আসা বিজেপি কর্মী রাখী শীলকে চর মারেন তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি স্ত্রীর রুবিতা মহন্ত। যদিও তার দাবি, তিনি চড় মারেননি, ধাক্কা মেরেছেন।সেখানে সুকান্ত মজুমদার আসায় ভিড় জমে গিয়েছিল, তাই সাধারণ ভোটারদের অসুবিধা হচ্ছিল বলে তিনি ধাক্কা মেরেছেন।