আশিস মণ্ডল, বোলপুর, ১০ মে: ‘আহারেই আরোগ্য’। এই মন্ত্র নিয়ে একটি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের উদ্বোধন হলো শান্তিনিকেতনের বল্লভপুর এলাকায়। হাসপাতালের উদ্বোধন করেন যোগ গুরু রকেশ পরাসর। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। কলকাতার বাসিন্দা অবনী ভূষণ মণ্ডল, রাজেশ সেন চৌধুরী ও পলাশ বাগচির মতো কয়েকজন ব্যক্তি ওষুধ থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে শান্তিনিকেতনের বল্লভপুর এলাকায় একটি আয়ুস ভিলেজ গড়ে তোলেন। সেখানে সমস্ত রকম ঔষধি গাছ লাগানো হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে মহর্ষি আয়ুস ভিলেজ। বেশ কয়েক বছর ধরে সেই বাগান লালনপালন করার পর এবার উদ্বোধন করা হল আয়ুস হাসপাতালের।
রাজেশ সেন জানান, এই হাসপাতালে সুস্থ শিবির গড়ার জন্য যোগ ও প্রাণায়াম শিবির করা হবে। ওষুধ ছাড়াই সুগার, থাইরয়েড এবং প্রেসার থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পেতে বিশেষ শিবির করা হবে। এছাড়াও বাত, পারালাইসিস সহ যে কোনো ব্যাথা এবং গ্যাস, অম্বল রোগের নির্ণয় করা হবে আয়ুর্বেদের মাধ্যমে। হাঁটুর ব্যাথা ও খয়ে যাওয়া হাড় এবং ফ্রোজেন সোল্ডার সারানোর ক্ষেত্রে এখানে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
পলাশবাবু বলেন, “আমাদের মূল মন্ত্র আহারেই আরোগ্য। আমরা মনে করি আয়ুস ঔষধি প্রথম এবং ওষুধ শেষ। আমরা বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে রোগীর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মানুবর্তিতার উপর নজর দেব। ভেষজ প্রয়োগের মাধ্যমে মশলা, প্রাকৃতিক ফল ও সবজি এইসব খাবারের মাধ্যমে রোগ উপশমের উপর জোর দেব। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মূল অংশ হল ভেষজ ঔষধি, সুষম খাবার, যোগ এবং ধ্যান। সেগুলির উপর জোর দিয়েই আমরা হাসপাতালে আসা রোগীদের সুস্থ করে তুলব”।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শমীক ভট্টাচার্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উপকারিতা এবং ঔষধি প্রয়োগের উপর জোর দেন।