আমাদের ভারত, ৬ আগস্ট: বাংলাদেশ মানে অমর শহিদ, বাংলাদেশ মানে ভাষা শহিদ দিবস, বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু। এই তিন শব্দেই দেশভাগের পরেও এক সূত্রে বেঁধে রেখেছে দুই বাংলাকে। কিন্তু আজ সেই সোনার বাংলা জ্বলছে। যেখানে সেখানে চলছে লুটতরাজ। এই বাংলাকে মেনে নিতে কষ্ট হয়েছে এপার বাংলার শিল্পীদের। মাতৃভাষার টানে আজও দুই বাংলা নিজেদের আত্মিক যোগ অস্বীকার করতে পারে না। পাশে যতই কাঁটা তারে বেড়া থাক না কেন মনের যোগে যেন বাঁধা কোথায়। সাহিত্য থেকে শিল্প, সব দিক দিয়েই দুই বাংলা কেমন যেনো আর্থিক টানে জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু সেই বাংলাদেশের এই দশা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে এপার বাংলার শিল্পীদের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন খবর আসতে শুরু করেছে একের পর এক হিন্দুর বাড়িতে হামলা হচ্ছে। হিন্দুদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। একের পর এক মন্দির ভেঙ্গে তছনছ করে দেওয়া হচ্ছে।সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়া ও টেলিভিশনের পর্দায় দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন শিল্পীরা। ধর্ম তো কখনো দুই বাংলার মধ্যে আসেনি তাহলে আজ কেন আসছে?
“বাংলাদেশ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক সব ঠিক হয়ে যাও লিখে গান গেয়েছেন সঙ্গীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী। স্বস্তিকা থেকে পরমব্রত, ঋদ্ধি সেন সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার এই পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন। এই বীভৎসতার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তারা।
ঋদ্ধি সেন লিখেছেন, “যে লুন্ঠন ধ্বংস আর ভুল ইতিহাসের পথে হাঁটার পরিস্থিতি চলছে বাংলাদেশে, তা বন্ধ হোক।”
স্বস্তিকা মুখার্জি লিখেছেন, “রাষ্ট্র যখন ছাত্রদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে, জাত- পাত, ধর্ম, ভেদাভেদ ভুলে মানুষ ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজ যখন দেশের হিন্দুদের উপর আঁচ এসেছে এর মোকাবিলা ছাত্রদের করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এর দায় আন্দোলনকারীদের নিতে হবে। সমাধানও তাদেরই আনতে হবে।”