গোপাল রায়, আমাদের ভারত, আরামবাগ, ২৩ সেপ্টেম্বর: খানাকুল এলাকায় জল কমতেই চারিদিকে হাহাকার, বুক ফাটা কান্না। পড়ে আছে ভাঙ্গা বাড়ির ধ্বংসস্তূপ। বাড়িছাড়া হয়ে কেউ বাঁধের ধারে, কেউ গাছ তলায় আশ্রয় নিয়েছেন। কবে নতুন করে বাড়ি তৈরি হবে, কবেই বা সেই বাড়িতে ফিরতে পারবে তা জানেন না খানাকুলের বন্যা দুর্গতরা।
গত মঙ্গলবার দুপুরে খানাকুল কিশোরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালিত এলাকার দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ দিয়ে জল ঢুলে পাঁচ থেকে সাতটি পাকা বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়েছিল। কি খাবে কোথায় যাবে কিছু বুঝতে পারছিল না বাড়ির লোকজন। দ্বারকেশ্বর নদীর জল হাসিটুকু কেড়ে নিয়েছে এলাকার মানুষজনদের। ওই এলাকার বাসিন্দা পারমিতা রায় সহ সাতজনের ঘর ভেঙ্গে গিয়েছে। তাদের ঠাঁই হয়েছে আত্মীয়র বাড়ি ও বাঁধের ধারে ও গাছ তলায়। কবে বাড়ি ফিরবে তা জানেন না।
খানাকুল বন্যা কবলিত এলাকা। তালিত এলাকার বহু মানুষ বানভাসি। গতকাল রাতে এলাকা পরিদর্শনে আসেন মুখ্য সচিব। ওই এলাকার মানুষজনদের সব রকম সাহায্য করা হবে বলে অশ্বাস দিয়ে তিনি বলে গেছেন জল নামলেই নদীর বাঁধ সারানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে।