স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ৭ ফেব্রুয়ারি: প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা থাকায় দেওয়া হয়েছিল সরকারি নিরাপত্তা, কিন্তু আচমকাই সেই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হল রায়গঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলর তথা তৃণমূল যুব নেতা অর্নব মন্ডল ওরফে বান্টির। তৃণমূল নেতার সরকারি নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার ঘটনায় জোর জল্পনা চলছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে। গুঞ্জন, বিজেপি নেতাদের সাথে গোপনে যোগাযোগের অভিযোগ পেয়েই কাউন্সিলর অর্নব মন্ডলের রাজ্য সরকারের সরকারি সিকিউরিটি তুলে নেওয়া হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো বাজছিলেন রায়গঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলর তথা তৃণমূল যুব নেতা অর্নব মন্ডল ওরফে বান্টি। তাঁর স্ত্রী পায়েল সাহা মন্ডলও রায়গঞ্জ পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর। অর্নব মন্ডল কাউন্সিলরের পাশাপাশি রায়গঞ্জ ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ছিলেন। প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কায় রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে অর্নববাবুকে সরকারি সিকিউরিটি দেওয়া হয়। সম্প্রতি এলাকার কোনও একটি সমস্যা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সাথে মতবিরোধ হয় এই একনিষ্ঠ তৃনমুল কংগ্রেসের সৈনিক অর্নব মন্ডলের। এরপর থেকেই বেসুরো হন বলে গুঞ্জন ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
গোপনে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সাথেও যোগাযোগের অভিযোগ ওঠে অর্নববাবুর বিরুদ্ধে। এরপর আচমকাই ক’দিন আগে অর্নববাবুর রাজ্য সরকারের সিকিউরিটি তুলে নেওয়া হয়। সরকারি সিকিউরিটি তুলে নেওয়ার ঘটনায় উত্তর দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ছবি: কানাইয়ালাল আগরওয়াল,জেলা সভাপতি।
এব্যাপারে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, অর্নব মন্ডলের সিকিউরিটি ছিল কি না তাই তিনি জানতেন না। তবে, পাশাপাশি বলেন, তাঁর বেসুরো হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। অর্নব মন্ডল দলেরই কাউন্সিলর ও যুব তৃণমূল নেতা।
সরকারি সিকিউরিটি তুলে নেওয়ার বিষয়ে অর্নব মন্ডল বলেন, আমার প্রাণসংশয় ছিল বলে পুলিশ প্রশাসন থেকেই সিকিউরিটি দেওয়া হয়েছিল। আবার আচমকাই তুলে নেওয়া হল। কি কারনে সিকিউরিটি তুলে নেওয়া হল তা পুলিশ প্রশাসনই বলতে পারবে৷ তবে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন একনিষ্ঠ সৈনিক। দলের হয়েই কাজ করে যাব। তাঁর বিরুদ্ধে বেসুরো হওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ছবি: পায়েল সাহা মন্ডল, অর্নব মন্ডলের স্ত্রী।
এদিকে স্বামীর প্রাণসংশয় থাকার কারনে সরকারি সিকিউরিটি দেওয়া হয়েছিল এখন আবার তা তুলে নেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অর্নব মন্ডলের স্ত্রী তথা রায়গঞ্জ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর পায়েল সাহা মন্ডল। তিনি বলেন, এখন ভগবানই ভরসা।
যদিও এনিয়ে মুখ খুলতে নারাজ রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার।