আমাদের ভারত, ১৯ জানুয়ারি: নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মাথায় রেখে মাধ্যমিক পরীক্ষার দৈনন্দিন সময়কাল সংক্রান্ত নির্দেশ পরিবর্তন করার আবেদন জানাল অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসঙ্ঘ, পশ্চিমবঙ্গ (বিদ্যালয় শিক্ষা)।
সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাপী প্রামাণিক এই প্রতিবেদককে শুক্রবার জানান, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে এ ব্যাপারে ছ’দফা দাবির উল্লেখ করা হয়েছে। দাবিগুলো হল—
১) সন্ধ্যা হয়ে যাবে বলে যে কারণ দেখানো হচ্ছে সেটা একেবারেই যুক্তিগ্রাহ্য নয়। সন্ধ্যার আগে পরীক্ষা শেষ করতে চান? তাহলে স্কুলের সময়ে পরীক্ষা শুরু করুন। টিফিন পিরিয়ডে পরীক্ষা শেষ হবে। অর্থাৎ ১০:৪৫ – ২:০০ টা পর্যন্ত, যা অত্যন্ত বিবেচনা প্রসূত, সময়োপযোগী এবং বাস্তব।
২) পরীক্ষার্থীদের জীবনে পর্ষদের প্রথম পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবকদের উদ্বেগও কম নয়। সেইজন্য সবচেয়ে জরুরি হল পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে পড়াশোনা বলতে পরীক্ষা দিতে বেরোবার আগে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য ন্যূনতম হলেও পড়াশোনা করা। সেই সুযোগটুকু কেড়ে নিয়ে ওদের মানসিক চাপ বৃদ্ধি করবেন না।
৩) পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা দূরবর্তী গ্রাম থেকে শহরে পরীক্ষা দিতে আসে তাদের জন্য আরও সমস্যা বেড়ে গেল। সকাল ৯ টার মধ্যে পরীক্ষা হলে পৌঁছতে হলে অন্তত এক ঘন্টা আগে পৌঁছতে হবে। সেজন্য আরও এক ঘন্টা আগে প্রস্তুতি নিতে হবে। অভিভাবদের খাবার প্রস্তুত করা, পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা এগুলো সকাল সাতটা বা সাড়ে সাতটার মধ্যে করতে সমস্যায় পড়বে। রাজ্যের সুন্দরবন,পাহাড়ের মতো বিপদসংকুল অঞ্চলের জন্য এই সিদ্ধান্ত অনেক সমস্যা সৃষ্টি করবে।
৪) পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা দূরের জায়গা থেকে আসেন তাঁদের ক্ষেত্রে বাড়ির লোক ও তাঁদের থাকার জন্য জায়গা খুঁজতে হবে যা সামান্য পরিসরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কষ্টকর ও যন্ত্রণাদায়ক। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বদল করে পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করা হোক।
৫) শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী অনেকেই দূর থেকে বিদ্যালয়ে আসেন। এক্ষেত্রে তাঁদের কে দুপুরের খাবার ও টিফিন দুটো প্রস্তুত করে বেরোতে হবে। ন্যূনতম একঘন্টা দূর থেকে এলেও বেশিরভাগ কর্মীকে না খেয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে হবে। এই পরীক্ষা এতটা দায়িত্বপূর্ণ যে সেটাও খালি পেটে করতে হলে সেই দ্বায়িত্ব কোথাও গাফিলতির সম্ভাবনা থাকবে। এতটা অদূরদর্শী ও বিবেচনাহীন সিদ্ধান্ত বদল করে স্কুলের শুরুর সময় পরীক্ষা শুরু করার আবেদন জানাই।
৬) যারা মূল পরীক্ষা কেন্দ্রের দ্বায়িত্ব সামলাবেন তাঁদের প্রশ্নপত্র বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে বিতরণের জন্য থানায় যেতে হবে সকাল ৬:৩০টা থেকে ৭:০০ টার মধ্যে, এটা কিভাবে সম্ভব? কারন তাদের নিজেদের প্রস্তুত হয়ে থানায় পৌঁছাতে হবে।
তাই সবদিক বিচার করে ১০:৪৫ – ২:০০ টা পর্যন্ত পরীক্ষা হলে কোনও সমস্যা থাকবে না। সকলের কথা চিন্তা করে এই নির্দেশের পরিবর্তন করার আহ্বান জানাই।
Yes very sad eaxm