আমাদের ভারত, ২৮ আগস্ট:
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বদলার রাজনীতি করছেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি, অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতির। বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সভা মঞ্চ থেকে করা মমতার মন্তব্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।তাঁর দাবি, রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মেয়ো রোডে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আরজি কর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা বলেছিলাম বদলা নয় বদল চাই। আজ বলছি ওই কথা নয়। আজ বলছি যেটা করার দরকার সেটা আপনারা ভালো বুঝে করবেন। মমতার এই মন্তব্যকে চিঠিতে উদ্ধৃত করেছেন সুকান্তবাবু। তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নির্লজ্জ মন্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। এর মাধ্যমে বদলা রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরো একটি মন্তব্যকে উদ্ধৃত করেছেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তবাবু বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলায় আগুন জ্বললে অসম, বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, দিল্লিতে আগুন জ্বলবে। উত্তর পূর্বে আগুন জ্বলবে। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, এই মন্তব্য আপত্তিকর। কোনও সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তি এই মন্তব্য করতে পারেন না। মানুষকে ভয় দেখানো হিংসা ছাড়ানোর এই মন্তব্য তিনি করেছেন। এরপরে মমতা এত গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।
সুকান্তবাবুর বক্তব্য, যেকোনো সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তির উচিত শান্তির পক্ষে কথা বলা কিন্তু মমতা তা করেননি। তাঁর অবস্থান বাংলার মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বাংলায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
আর জি করে মহিলা চিকিৎসক খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ নামে একটি সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান উঠেছিল। বিজেপি সেই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছিল। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে কলকাতা, হাওড়ায় দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। তারপরে বুধবার মেয়ো রোডে জনসভা থেকে দলের কর্মীদের ফোঁস করার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।