আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৮ জানুয়ারি: ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হল মল্লারপুর নইশুভার সভাকক্ষ দীক্ষায়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নইসুভার অধীনে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের তিনশো পরিচালক সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাদের ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে উপস্থিত ছিলেন ব্যাঙ্কের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ফিনান্সিয়াল ইনকুলেসন এন্ড মাইক্র ফিনান্স) মীরা শেখর, চিফ রিজিওন্যাল ম্যানেজার (বোলপুর) অনিন্দ্য মুক্তা, চিফ ম্যানেজার (ফিনান্সিয়াল ইনকুলেসন, বর্ধমান) স্মিতা প্রকাশ, চিফ ম্যানেজার (ফিনান্সিয়াল ইনকুলেসন, কলকাতা) দাওয়া দলমস ভুটিয়া ও চিফ ম্যানেজার (কাস্টমার কেয়ার) প্রিয় রঞ্জন।
বার্ষিক সভায় প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা উপর জোর দেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি নতুন অ্যাকাউন্ট, রেকারিং ডিপোজিট খোলার উপরও জোর দেওয়া হয়। গতবছর ভালো কাজ করার জন্য গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন পরিচালককে পুরস্কৃত করা হয়। সমস্ত স্কিমে সকলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ায় প্রথম পুরস্কার দেওয়া হয় ইলামবাজারের সাবিনা বেগমকে। অটল পেনশন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনায় সর্বাধিক ভালো কাজ করায় পুরস্কৃত করা হয় নাজমুল হক, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে। এছাড়া নতুন খাতা খোলায় এগিয়ে থাকায় মনোতোস ঘোষ, রেকারিং ডিপোজিটের জন্য তাজউদ্দীন আহমেদ এবং স্পেশাল ডিপোজিটের জন্য সৌরভ দত্তকে পুরস্কৃত করা হয়।
নইসুভার সভাপতি সোমা পাঠক এবং সম্পাদক সাধন সিনহা বলেন, “মূলত প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা প্রকল্পের উপর জোর দিচ্ছি। কারণ মানুষ ওই প্রকল্পে টাকা গচ্ছিত রাখলে দুর্ঘটনার পর তার পরিবার এককালীন মোটা টাকা পাবেন। তবে কোন স্কীমকে অন্য চোখে দেখছি না। সব স্কিমের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রতিটি মানুষ যেন ব্যাঙ্ক মুখী হয় তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে”।