সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৬ নভেম্বর:”জাতীয় মুরগি দিবসে প্রকাশ্যে মুরগি কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছে পশুপ্রেমী সংস্থা। “ভালবাসুন মুরগির মাংস। দাঁত শক্ত হবে। হাড় শক্ত হবে। শিশু ও ছাত্রছাত্রীদের বুদ্ধির বিকাশ হবে। খিদে বাড়াবে, ইমিউনিটি বাড়াবে। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই ভালবাসুন মুরগির মাংস। আজ জাতীয় মুরগি দিবস উপলক্ষে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে এই আবেদন জানানো হয়েছে। এই আবেদন সম্বলিত ফ্লেক্স শহরের বিভিন্ন জায়গায় শোভা পাচ্ছে। এতেই প্রতিবাদে সরব হয়েছে জেলার পশু প্রেমী সংস্থা মাই ডিয়ার ট্রিজ এন্ড ওয়াইল্ডস।
এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, জাতীয় মুরগি দিবস পালন, মুরগির মাংসকে ভালবাসা বা মুরগির মাংসকে ভালবাসতে বলা নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই।বশুধু মুরগি কাটার দৃশ্য প্রকাশ্যে দেখানো নিয়ে তাদের আপত্তি। এই ভালবাসার কথা বলা ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে মুরগির মাংস বিক্রির দোকানগুলিতেও। এই দোকানগুলির মুরগি কাটা নিয়ে সমাজকর্মী ও পশু প্রেমীদের দীর্ঘদিনের আপত্তি রয়েছে। তাদের বক্তব্য, রাস্তার ধারে ফুটপাতের ওপর একটা বড় বঁটিতে একটানে মুরগির গলা কেটে ফেলা হয়। তখনই। মুরগিটার কাটা গলা দিয়ে রক্ত ছিটকে বেরিয়ে আসে। মুরগিটা ছটপট করতে করতে ধীরে ধীরে চুপ হয়ে যায়। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই আঁতকে উঠেন, বিরূপ প্রভাব পড়ে মায়ের হাত ধরে বা কোলে স্কুলগামী শিশু মনে। এই দৃশ্য অনেকেই দেখে কষ্ট পান।
গৌতমবাবুর বক্তব্য, এই ব্যানারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের নাম উল্লেখ রয়েছে। যে দপ্তরের অধীনে রয়েছে পশু ক্লেশ নিবারণী সমিতি বা সোসাইটি ফর প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি এগেনস্ট অ্যানিম্যাল। প্রকাশ্যে মুরগি কাটার দৃশ্য কতটা প্রাণী সম্পদ কল্যাণ দপ্তরের অনুকূল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
গৌতম বাবুর বক্তব্য নিয়ে বাঁকুড়া, বহরমপুর সিউড়ি ও ঢাকুরিয়াতে তারা পথ সভা করেন। বনিতা আঠা ও মল্লিকা পানের বক্তব্য, এই দৃশ্য দেখে তাদের শিশুরা ভয় পায়। এই দৃশ্য বন্ধ করা দরকার।