আমাদের ভারত, ২০ আগস্ট: সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে এসে প্রাণপণ দৌড় দিলেন কলকাতা পুলিশের এক এএসআই। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের প্রশ্ন থেকে বাঁচতে দ্রুত দৌড়াতে শুরু করেন এএসআই। ছুটে সোজা সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে ঢুকে যান তিনি।
এই মুহূর্তে সিবিআই দপ্তরে চলছে তুমুল ব্যস্ততা। বাইরে প্রায় সর্বক্ষণই দাঁড়িয়ে রয়েছে সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে এসে দাঁড়ায় পুলিশের একটি গাড়ি। সেই গাড়ি থেকে নামেন কলকাতা পুলিশেরই এক এএসআই। সাংবাদিকদের কাছে খবর যায় ইনি আরজিকর কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের ঘনিষ্ঠ। তাকে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে গাড়ি থেকে নামতে দেখেই সাংবাদিকরা ছুটে যান। ধৃত সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হলে দৌড় দিতে শুরু করেন ওই এএসআই। ছুটে ভেতরে ঢোকেন তিনি।
আরজিকর কান্ডে গত ১০ আগস্ট কলকাতা পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তদন্তভার সিবিআই- এর হাতে যেতেই ধৃতকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারপর থেকে দ্রুত ধৃত সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সেই সূত্রেই তার পরিচিত লোকজনকে তলব করেছেন তদন্তকারীরা। কেউ না কেউ আরজিকর কাণ্ডে হাজিরা দিচ্ছেন সিবিআই দপ্তরে।
মঙ্গলবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল ওই এএসআই’কে। আরজিকর কান্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি ছিলেন না তিনি। তাই ক্যামেরা দেখেই দৌড়াতে শুরু করেন।
ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ২০১৯- এ কাজে যোগ দিয়েছিলেন। সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও তিনি যে বেশ প্রভাবশালী ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে একাধিক বার। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানে অল্প কয়েকদিন কাজ করার পরই তাকে পাঠানো হয় পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটিতে। একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়েও অভিযুক্ত কিভাবে পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটিতে ছিল তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
সিজিও কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার যে এএসআই দৌড়ে ঢুকেছেন তিনিও পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য বলেই খবর। তার সাথে ঘটনার রাতে ধৃতের কথাও হয় ফোনে বলে শোনা যাচ্ছে।