স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৯ ডিসেম্বর: পায়ে হেঁটেই গোটা ভারতবর্ষ ভ্রমণ। অবিশ্বাস্য হলেও একদম সত্যি। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষার মধ্যেই চরৈবেতি মন্ত্র বুকে নিয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পথে নেমেছে দুই যুবক অজিতেশ শর্মা ও সৌরভ দেবাঙ্গন। বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের রাস্তায় দেখা মিললো এদের। পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা নিয়েই এই দুই যুবক হেঁটে চলেছে অন্তহীন পথ।
দেশ-বিদেশে ভ্রমণের ইচ্ছা কম, বেশী সকলেরই রয়েছে। কিন্তু তাবলে পায়ে হেঁটে গোটা ভারতবর্ষের অন্তরাত্মাকে জানতে চাওয়ার দুঃসাহস কজনেরই বা আছে! কিন্তু এই দুঃসাহস বুকে নিয়েই পথে নেমে পড়েছে দুই যুবক অজিতেশ শর্মা ও সৌরভ দেবাঙ্গন। অজিতেশের বাড়ি উত্তর প্রদেশে আর সৌরভের ছত্তিশগড়ে। দুই বন্ধু ছত্তিশগড় রাজ্যের রায়পুরের একটি কলেজ থেকে নাটক নিয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছে। স্নাতক হওয়ার পরেই পায়ে হেঁটে ভারত ভ্রমণের নেশা চেপে বসে দুই বন্ধুর মাথায়। পিঠে রুকস্যাক আর জাতীয় পতাকা নিয়ে ৭ অক্টোবর রায়পুর থেকে যাত্রা শুরু হয় তাদের। রায়পুর থেকে ভুবনেশ্বর, কলকাতা হয়ে গ্যাংটক যাওয়ার পথে বুধবার রায়গঞ্জে এসে পৌঁছায় তারা।
অজিতেশ জানিয়েছে, আমাদের লক্ষ্য পায়ে হেঁটে ভারত ভ্রমন। গাড়ির জ্বালানী ব্যবহারে লাগাম টেনে পায়ে হাঁটুন। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দুই ভালো থাকবে। এই বার্তাই মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি আমরা।
অন্যদিকে সৌরভ বলে, “আমরা তিন বছরে ভারত ভ্রমণের পরিকল্পনা নিয়েছি। প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে যাবো আমরা। সব মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
মধ্যবিত্ত মানুষ যখন দশটা -পাঁচটা অফিস, অসাধ্য সাধ পূরণের লক্ষে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ছুটে চলেছে, তখন তার বীপরীত স্রোতে হেঁটে দুই যুবক জীবনের আসল সত্য খুঁজে পেতে ছুটে চলেছেন ক্লান্তিহীন পথে। এর নামই হয়তো বেঁচে থাকা।