পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৩ সেপ্টেম্বর: আরজিকরে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে প্রতিবাদের আঁচ লেগেছে বিশ্বের দরবারেও। এই নৃশংস ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন অধিকাংশ মানুষ। এমন আবহে দুর্গা পুজোর জন্য রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা দিঘা মোড় সর্বজনীন দুর্গা উৎসব কমিটি। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে প্রশাসনের সর্বত্র চিঠি দিয়ে দুর্গা পুজোর অনুদান নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পুজোর সংগঠকরা।
এবার রাজ্যের প্রায় ৪৫ হাজার ক্লাবকে দুর্গা পুজোর অনুদান দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই অনুদানের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। তবে সম্প্রতি আরজিকর কান্ডের পর রাজ্যজুড়ে সরকার বিরোধী প্রতিবাদের হাওয়া বইতেই কিছু সময়ের জন্য পুজো অনুদান দেওয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর আবার নতুন করে সেই অনুদান ছাড়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন। এরজন্য এগরা থানার তরফ থেকে গত ১১ সেপ্টেম্বর অন্যান্য পুজো কমিটির পাশাপাশি এগরা-দিঘা মোড় সর্বজনীন দুর্গা উৎসব কমিটিকেও পুজো অনুদানের আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়।
এই চিঠি পাওয়ার পর ওইদিন রাতেই ক্লাবের সদস্যরা একটি জরুরি বৈঠকে বসেন। সেখানেই স্থির হয় এবছর অভয়া কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্য সরকারের অনুদান নেওয়া হবে না। এই বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ স্টেশন ও প্রশাসনিক মহলে ই- মেইল মারফৎ চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্লাবের তরফ থেকে।
এগরা-দিঘা মোড় সর্বজনীন দুর্গা উৎসব কমিটির সম্পাদক সুমিত সাউ জানান, “অভয়ার বিচারের দাবিতে আমরা সবাই এককাট্টা হয়ে লড়াইয়ে সামিল হয়েছি। আমরা মনে করি রাজ্য সরকারের উদাসীনতার জন্যই অভয়ার মর্মান্তিক পরিণতি ঘটেছে। তাই দুর্গা পুজোর জন্য রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদান আমরা নেব না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি”। শুধু তাই নয়, এবারের পুজো মন্ডপে রাজ্য সরকারের কোনও স্টল বা ব্যানারও রাখা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।