BJP, Lalbazar, নবান্ন অভিযানের পর বিজেপির লালবাজার অভিযান ঘিরে ফের ধুন্ধুমার পরিস্থিতি

আমাদের ভারত, ২৭ আগস্ট: ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানের পর শুরু হয় বিজেপির লালবাজার অভিযান। আর এই অভিযানকে ঘিরেও তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।

মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে গিয়ে বহুজন আটক হয়েছে, তাদের ছাড়াতে লালবাজার ঘেরাও অভিযান শুরু করে বিজেপি। লাল বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পদ্ম শিবিরের নেতৃত্ব। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, রুদ্রনীল ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। কিন্তু লালবাজারের অদূরেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তারপর পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সুকান্ত মজুমদারের। পুলিশ বাধা দিলে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি নেতা- কর্মীরা। তারা স্লোগান দিতে থাকেন জাস্টিস ফর আরজি কর বলে। একই সঙ্গে তারা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেও সরব হন।

অবস্থানে বসে পদ্ম শিবির একটাই দাবি তোলে, মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। সুকান্ত মজুমদার একই সঙ্গে দাবি করেছেন, বুধবার বিজেপির ডাকা বনধ সর্বাত্মক হবে। এই বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি নেতা তাপস রায়, রাজ্যসভার সংসদ শমিক ভট্টাচার্য।

বিজেপির এই মিছিল আটকাতে তৎপর ছিল পুলিশ। ব্যারিকেট করেছিল পুলিশ হেলমেট পড়ে বেতের ঢাল হাতে প্রস্তুত ছিল। লালবাজারে অভিযানে নেমে বেঙ্টিং স্ট্রিট, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ক্রসিং এ বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার।

মিছিল যাতে এগোতে না পারে তাই রাস্তায় ব্যারিকেট করে পুলিশ। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙ্গার চেষ্টা করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। গার্ডরেল উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। প্রতিরোধের চেষ্টা করে পুলিশ।

এরপর বিজেপি নেতা- কর্মীদের ছত্র ভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। তাকে গাড়িতে চাপিয়ে বিক্ষোভ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আরো এক বিজেপি কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিজেপির দাবি, পুলিশ তাকে মেরেছে। উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেছেন, কলকাতা পুলিশ হিটলার বাহিনীর মতো কাজ করছে। পুলিশ লাঠি মেরে বলছে, মারেনি। তার কথায় কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে তারা, এটা অপরাধ করেছে। এরা জঘন্য, রণক্ষেত্র কেউ তো করতে চাইনি, ওরা করেছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেছি। আজ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সারাদিন ধরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *