আমাদের ভারত, মুর্শিদাবাদ, ৬ ডিসেম্বর: অধীর চৌধুরী কে তিনি টাকা দিয়েছেন সারদার মালিক সুদীপ্ত সেনের এই দাবি একেবারে উড়িয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীর চৌধুরী আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, এই কথা শুনে ঘোড়াও হাসবে। তাঁর অভিযোগ, এর পেছনে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত রয়েছে। যেহেতু বাম কংগ্রেস জোট তৃতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসছে, তাই তাঁকে দুর্বল করার জন্য বদনাম দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি সম্প্রতি সুদীপ্ত সেন দাবি করেছেন তিনি নাকি শুভেন্দু অধিকারী, অধীর চৌধুরী এবং সুজন চক্রবর্তীকে টাকা দিয়েছিলেন। তার প্রতিক্রিয়ায় আজ অধীর চৌধুরী তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্য সরকারের। তিনি মনে করেন এর পেছনে রাজ্য সরকারের চক্রান্ত রয়েছে। তিনি বলেন,
এসব করে কিছু করে হবে না, সততার সাথে রাজনীতি করি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এর আগে আমাদের দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। আমরা নাকি জনগণের শত্রু, তাও বলেছে। কিন্তু সব কিছু ব্যর্থ হওয়ায় নতুন করে বলা হচ্ছে আমি নাকি সারদা থেকে টাকা নিয়েছি। অধীরবাবু বলেন, আমি তাকে চিনতাম না, আমি চিনেছিলাম কাগজের মাধ্যমে। সারদা কান্ডের জন্য একটা স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম গঠন করা হয়েছিল এবং তাতে সব কিছু নথি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। এই নথি যারা নষ্ট করেছিল তাদের জন্য দিদি রাস্তায় বসে ধর্না দিয়েছিল। আজকে নতুন অভিযোগ করা হচ্ছে সারদা থেকে আমাকে টাকা নাকি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সংসদ ভবনে ও রাস্তা দাঁড়িয়ে সারদা কান্ডের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি। কিন্তু সাড়ে সাত বছর পর যখন নির্বাচন সামনে তখন এই অভিযোগ তুলছে। দিদির আইনজীবীরা এই বুদ্ধি দিয়ে আমাদের কলঙ্কিত করছে এবং কংগ্রেস বাম সকলকে জড়িত করছে। জেল কর্তৃপক্ষ চিঠি দেওয়া পর মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হল? – এটা হাস্যকর অভিযোগ? এই ঘটনা শোনার পর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বাইরে যে ঘোড়াগুলো আছে তারাও হাসছে বলে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী।
তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলার কারণ হিসাবে তিনি বলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও বাম জোট শক্তিশালী হচ্ছে, তৃতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসছে। হাজার হাজার মানুষ আমাদের সভায় এবং মিছিলে আসছে। তাই তৃতীয় শক্তিকে অঙ্কুরে বিনাশ করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিপিএল মন্ত্রী হয়ে আছি। এই সরকার ছোটখাটো ব্যবসায়ীদেরও অধিকার করে নিয়েছে।তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন কুৎসা দিয়ে অধীর চৌধুরীর বদনাম করা যাবে না–ময়দানে দেখা হবে।