অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ২৮ নভেম্বর:
চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে শিশুদের চোখের নানা অসুখের সংখ্যা প্রকাশ্যে আসছে। বাড়তি পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে হদিশ মিলছে এই সব অসুখের। মুস্কিল আসানের জন্য শিশুদের পর্যাপ্ত চোখের পরীক্ষা এবং সেসবের ‘ফলো আপ’ করার নিদান দিলেন বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জয়দেব রায়।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) সদর শাখার প্রাক্তন সভাপতি প্রয়াত ডাঃ প্রশান্ত কুমার চৌধুরী (১৯২৭ – ২০০৬) স্মারক বক্তৃতার আয়োজনে ডাঃ রনবীর মুখার্জি প্রতিষ্ঠিত ‘আই কেয়ার রিসার্চ সেন্টার’ বৃহস্পতিবার ইন্সটিট্যুট অফ চাইল্ড হেলথের অধিকর্তা জয়দেববাবুকে বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণ করেছিলো। জয়দেববাবু ডাঃ রনবীর মুখার্জি এবং সমসাময়িক আর এক নামী চক্ষু চিকিৎসক আইএস রায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “আমাদের কর্মজীবনের গোড়ায় ওঁরা জেলায় জেলায় শিবির করে চক্ষু সচেতনতা ও ছানি অস্ত্রোপচারের কাজ করেছেন। পরবর্তীকালে আমরা চেষ্টা করেছি সেই সামাজিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আজ এটা ভেবে ভালো লাগে মাষ্টারমশাইদের নাতি-নাতনি বা তাঁদের ঘনিষ্ঠরা আমার কাছে আসছেন চোখের সমস্যা দূর করতে।”
এদিন জয়দেববাবু পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শিশুদের নানা ধরণের চোখের রোগ, সমস্যা ও সমাধানের আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে চিকিৎসক শৌভিক ব্যানার্জি ডাঃ জয়দেব রায়ের কীর্তিগাথা ও প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন। চিকিৎসক শিবদত্ত চৌধুরী তাঁর প্রয়াত পিতা ডাঃ প্রশান্ত কুমার চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবনী জানান। পরে আই কেয়ার রিসার্চ সেন্টারের সভাপতি তন্ময় সেনগুপ্ত এবং সম্পাদক শকুন্তলা ঘোষ হাজরা স্মারক ও উপহার দিয়ে জয়দেববাবুকে শ্রদ্ধা জানান। উদ্যোক্তা সংগঠনের দু’বছরের চক্ষু-বিষয়ক পাঠ্যক্রমের সদ্য প্রকাশিত ফলে প্রথম স্থানাধিকারী তিন্নি দেবনাথকে ডাঃ রণবীর মুখার্জি স্মারক পুরস্কার দেওয়া হয়।