সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১১ মার্চ: প্রয়াত হলেন অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। বুধবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অভিনেত্রী স্বস্তিকা শুটিং সেরে বাড়ি ফিরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা নাগাদ বাবাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন শারীরিক ভাবে তিনি অসুস্থ ছিলেন। ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন এই অভিনেতা। ৪ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্তু মুখোপাধ্যায়। তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও আরেক মেয়ে অজপা মুখোপাধ্যায়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউতে স্থানান্তরিত করেন।
সন্তু মুখোপাধ্যায়ের শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। পটাশিয়াম এর মাত্রাও অনেকটা পড়ে যায়। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট তো ছিলই। দীর্ঘদিন ধরে হাইপারটেনশন ও সুগার ছিল সন্তু মুখোপাধ্যায়ের এমনটাই চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গিয়েছিল। পরে অবশ্য অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে বাড়িতেই দুই কন্যার তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।
পরিচালক তরুণ মজুমদারের ‘সংসার সীমান্ত’ দিয়ে বাংলা ছবিতে যাত্রা শুরু অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের। তার পরে প্রায় শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাঙালির মন জয় করেছেন তিনি। বাংলা টেলিভিশনেও নিয়মিত অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে৷ এছাড়াও ‘হারমোনিয়াম, ‘ব্যাপিকা বিদায়, ‘অগ্নিপথ, ‘দেবদাস, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন সন্তু মুখোপাধ্যায়। ব্যতিক্রমী অভিনেতা হিসেবে তাঁর অবদান কখনই বাঙালি দর্শককুলের পক্ষে ভোলা সম্ভব নয়।
তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়েই গল্ফ ক্লাব রোডে প্রয়াত অভিনেতার বাড়িতে যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শোক প্রকাশ করেন টলিউডের একাধিক শিল্পীরাও। বৃহস্পতিবার পৌনে বারোটায় ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।