আমাদের ভারত, হাওড়া, ২২ জানুয়ারি: আদালতের নির্দেশে সরকারি জমি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার আতঙ্কে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক মহিলা। উলুবেড়িয়া ২ নং ব্লকের জোয়ারগোড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়গ্রাম এলাকার বাসিন্দা সাবিরা বেগম (৪২) নামে ওই মহিলা আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার একটি নামী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি।
জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে সাবিরা বেগম সপরিবারে উলুবেড়িয়া আমতা রাস্তার পাশে সরকারি জমিতে বসবাস করছিল। বছর ৬ আগে জনৈক নজরুল নামে এক ব্যক্তি সাবিরা বেগমের বাড়ির পিছনের জায়গা কেনে। যদিও সাবিরা সরাসরি জমি দখল করে থাকায় নজরুলের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, যাতায়াতের রাস্তার জন্য নজরুল দখল করে থাকা সরকারি জমির কিছুটা অংশ ছেড়ে দিতে বললেও সাবিরা না শোনায় বছর ৫ আগে নজরুল আদালতে মামলা করে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশে সাবিরাকে একাধিকবার জায়গা খালি করার কথা বলা হয়। এমনকি দিন ১৫ আগে তাকে নোটিশও পাঠানো হয়। যদিও সাবিরা নোটিশ না নেওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দরজায় নোটিশ আটকে দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে প্রশাসনিক আধিকারিকরা সাবিরার পরিবারকে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলে এবং বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অভিযোগ, সেই সময় সাবিরার সঙ্গে প্রশাসনের আধিকারিকদের বচসা হলে আচমকা সে ঘরের ভিতর ঢুকে গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তার চিৎকারে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক তুষার সিংলা, হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায় সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ঘটনা সম্পর্কে সাবিরার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বুধবার প্রশাসনিক আধিকারিকরা বাড়ি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করতে এলে সাবিরা এক সপ্তাহের সময় চায়। যদিও পুলিশ প্রশাসন আমাদের আবেদন না শোনায় সাবিরার সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের বচসা বাধলে পুলিশ সাবিরাকে হেনস্থা করলে সে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
যদিও হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সৌম রায়ের বক্তব্য মহিলা আতঙ্কেই গায়ে আগুন দিয়েছেন।