“নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোটাতে পারেনা, বাংলায় পদ্ম ফোটাবে”, নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ অভিষেকের

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২৭ ডিসেম্বর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কর্মীসভার পাল্টা সভা। রবিবার ডায়মন্ড হারবারের কেল্লার মাঠে এই সভা করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে কটাক্ষ করেন অভিষেক। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে সভা করেন অভিষেক। আর সেই সভা থেকেই এদিন একের পর এক তির ছোড়েন শুভেন্দুকে লক্ষ্য করে। অন্যদিকে এদিনও দলীয় সভা মঞ্চে দেখা গেল না ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদারকে।

এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু সম্পর্কে অভিষেক বলেন, “লড়াইয়ের ময়দানেই দেখা হবে বন্ধু। আগের নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোটাও তারপর বাংলায় পদ্ম ফোটাবে। নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোঁটাতে পারে না আবার বড় বড় কথা।” সারদা, নারদা, রোজভ্যালিতে অভিযুক্ত নেতা, নিজের পিঠ বাঁচাতেই বিজেপিতে ঢুকে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে বলে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেন অভিষেক। নিজে তোয়ালে মুড়িয়ে টাকা নিয়েছো আর বলছ ভাইপো তোলাবাজ? যদি কোনওভাবে আমার তোলাবাজি দেখাতে পারো তাহলে নিজেই ফাঁসির মঞ্চে চলে যাবো, ইডি, সিবিআই দিয়ে আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই বলে এদিন দাবি করেন অভিষেক।

এছাড়াও অভিষেক এদিন আরও বলেন, “ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ৩১-০ করে দেখাবো, চ্যালেঞ্জ করে গেলাম। কিছু বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে ভালো হচ্ছে, দলটা ভাইরাস মুক্ত হচ্ছে। বাংলার মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে বিজেপি, বাংলার মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।” তার বিরুদ্ধে ওঠা কয়াল পাচার, গরু পাচারের অভিযোগের পাল্টা এদিন অভিষেক বলেন, “যতো দোশ নন্দ ঘোষ। তোলাবাজ ভাইপো হটাও। কয়লা থেকে গরু এগুলো কাদের আন্ডারে। সব তো অমিত শাহের আন্ডারে, তাহলে তাঁরা আমার পিছনে কেন? তাঁরা যদি আমার কথা শুনে কাজ করে তাহলে লজ্জায় অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিৎ।”

শুভেন্দুর বিজেপি যোগের পর এই প্রথম প্রকাশ্য সভা করলেন অভিষেক। আর সেই কারনে সমগ্র রাজনৈতিক মহলের নজর ছিল এই সভার দিকে। কিভাবে শুভেন্দুকে জবাব দেন অভিষেক সেটি দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সকলেই। সেই প্রত্যাশা মতোই এদিন শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে একের পর এক পাল্টা আক্রমন করেন অভিষেক। পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বকেও নানাভাবে কটাক্ষ করেন যুব তৃণমূলের সভাপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *