আমাদের ভারত, ১১ মার্চ: সময় যতই এগোচ্ছে তত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চমক দিয়ে চলেছে। একই সঙ্গে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অনেকের ভাতও মেরে দিতে পারে এমন আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। এবার দেখা যাচ্ছে পুরোহিতদের রোজগারে হাত বসাতে পারে রোবটরা।
পৃথিবীর সমস্ত কল্প বিজ্ঞান কাহিনীজুড়ে যন্ত্র মানবদের অসামান্য কীর্তি কাহিনীর দাপট সবার জানা। কিন্তু রোবটের সেই কীর্তির দাপট এখন শুধু গল্পে নয়, আম আদমির জীবনেও বড়সড় ভাবে প্রভাব ফেলতে চলেছে।
২০১৭ সালে ভারতের এক টেকনোলজির ফার্ম একটি রোবোটিক আর্ম তৈরি করেছিল। সে যন্ত্র বাহু আরতি করতে পারতো যা দেখে চমকে উঠেছিল সকলে। কিন্তু তখন শুধুমাত্র চমকের মধ্যেই আবদ্ধ ছিল বিষয়টা। গণেশ পূজার সময় সেই যন্ত্রকে আরতি করতে দেখাটা দর্শনার্থীর জন্য বাড়তি পাওনা ছিল।এই উদ্ভাবন বিপুল সমাদৃত হয়েছিল, যা পরবর্তী সময় আরও এমন অনেক যন্ত্রবাহুর জন্ম দিয়েছে যারা হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের বহু ধর্মাচরণে অবতীর্ণ হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই একে মানুষের বিজ্ঞান আরাধনার নয়া অর্জন বলে মনে করেছেন অনেকে। কিন্তু একই সঙ্গে এর মধ্যে সিঁদুরে মেঘও দেখেছেন কেউ কেউ। এর ফলে ক্রমেই পুরোহিতদের কর্ম সংকোচনের পথ তৈরি হতে পারে আগামী সময়ে বলে মনে করছেন অনেকে। আজকের দিনে শুধুমাত্র একটা অ্যাপের মাধ্যমেই মন্ত্র আওড়ানো সম্ভব। সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে ধর্মাচারণ উপাসনার কাজে রোবটের ব্যবহার যেভাবে বাড়তে চলেছে তাতে খুব শীঘ্রই তা পেশাগতভাবে পৌরহিত্বের সঙ্গে যুক্তদের সমস্যায় ফেলতে পারে।
প্রশ্ন উঠেছে যদি তুলনা শুরু হয়ে যায় রোবট ও মানুষের মধ্যে, তাহলে কি রোবটরাই এগিয়ে থাকবে? তারা যে যান্ত্রিকভাবে দক্ষতার পরিচয় দেবে তা মানুষকে পিছনে ফেলার পক্ষে যথেষ্ট হবে না কি? এই ভাবনা শুরু হয়ে গেছে। সমস্যাটা ব্যাপক আকার ধারণ না করলেও আশঙ্কা কিন্তু বাড়তি শুরু করেছে।