আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৫ সেপ্টেম্বর: দিন কয়েক আগেই জামিন পেয়েছেন মেয়ে সুকন্যা। এবার গরু পাচার মামলায় জেল বন্দি বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মঙ্গল কামনায় পুজার্চনা ও বিশেষ হোমযজ্ঞ করালেন দলীয় কর্মীরা। মুরারই রেল স্টেশনের কাছে হনুমান মন্দিরে এই বিশেষ হোমযজ্ঞের আয়োজন করেন অনুব্রত মণ্ডলের শুভাকাঙ্খিরা।
২০২২ সালের ১১ আগস্ট গরু পাচার মামলায় সিবিআই বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে অনুব্রত মণ্ডলকে। একই মামলায় ১৭ নভেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে নেয় ইডি। তাঁকে প্রথমে আসানসোল জেল হয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তিহার জেলে। অন্যদিকে একই মামলায় গত বছরের এপ্রিল মাসে ইডি গ্রেফতার করে অনুব্রত’র মেয়ে সুকন্যাকে। ৩০ জুলাই সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পান অনুব্রত। কিন্তু ইডির মামলায় জামিন না মেলায় তাঁকে তিহার জেলেই থাকতে হচ্ছে। তবে ১০ সেপ্টেম্বর ইডির করা মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তারপর থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আশায় বুক বেঁধেছেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। সেই আশা নিয়েই হনুমান মন্দিরে পুজার্চনা ও বিশেষ হোম যজ্ঞ করলেন মুরারই এলাকার অনুব্রত মণ্ডলের শুভাকাঙ্ক্ষী তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা। হোম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের মঞ্চে ব্যানারে জ্বলজ্বল করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। তাদের মাথার উপরে রয়েছে হনুমানের ছবি।
হোম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য প্রদীপ ভকত, ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ফাল্গুনী সিনহা, আসগার আলি, চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুজয় দাস, কিশোর পিপাড়া সহ অনেকে। কিশোর পিপাড়া, সুজয় দাসরা বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল মুরারইয়ের অনেক উন্নয়ন করেছেন। তাই এলাকার মানুষ এদিন অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর পরিবারের মঙ্গল কামনায় যজ্ঞ করালেন। আমাদের বিশ্বাস দ্রুত ইডির মামলায় জামিন পেয়ে জেলায় ফিরবেন অনুব্রত”।
আসগার আলি বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল না থাকায় দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে তেমন সভা হয় না। আমরাও তেমন ডাক পাই না। তাই দলের রাশ ধরতে অনুব্রত মণ্ডলের জেল মুক্তি খুব প্রয়োজন”। তবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না মুরারইয়ের বিধায়ক মোশারফ হোসেন এবং সাংসদ শতাব্দী রায়। তবে মোশারফ তাঁর ব্যস্থতার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়ে অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ কামনা করেছেন।