পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৩ জুলাই: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের জানুবসান গ্রামীন হাসপাতালে গতকাল দুপুর দেড়টা নাগাদ মহিলাদের বন্ধ্যাত্বকরণের ল্যাপ লাইগেশন অপারেশন কর্মসূচিতে রেবতী সামন্ত (বয়স-আনুমানিক ৪৫ বছর) নামে এক মহিলা মারা যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩০ বেডের হাসপাতালে প্রায় আড়াই শতাধিক মহিলাদের বন্ধ্যাত্বকরণের জন্য ডাকা হয়েছিল। প্রায় ১৫০ জনের বন্ধ্যাত্বকরণের পর ওই মহিলাকে অপারেশন টেবিলে তুলে ইনজেকশন দেওয়ার পরেই ওই মহিলার খিঁচুনি আসে। তারপরেই মহিলাটি প্রাণ হারান বলে জানাগেছে। মৃত রেবতী সামন্ত আইসিডিএস সেন্টারের রাধুনি। মাত্র ৩০ বেডের হাসপাতলে আড়াই শতাধিক মহিলাকে বন্ধ্যাত্বকরণের জন্য কেন ডাকা হয়েছিল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তমলুক হাসপাতালের ডাক্তার যুগল কিশোর মাইতি এই শিবিরটি পরিচালনা করেন বলে জানাগেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় গতকালই বহু মানুষ জড়ো হন। বিশাল পুলিশ ও র্যালি হাজির হয় হাসপাতাল চত্বরে।
মাত্র ৩০ বেডের পরিকাঠামো যুক্ত এই হাসপাতালে কেন আড়াইশো জনকে অপারেশনের জন্য ডাকা হল, সেই সম্পর্কিত বিষয় সহ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও মৃত ব্যক্তির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আজ এসইউসিআই কমিউনিস্ট দলের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক কমিটির পক্ষ থেকে তমলুক- মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ ও হাসপাতালের গেটে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ব্লকের বিএমওএইচ’কে ওই সংক্রান্ত ৮ দফা দাবিতে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন-দলের পক্ষে বাসুদেব সামন্ত, স্বপন সামন্ত, কার্তিক বেরা, অশোক মাইতি, প্রশান্ত ঘড়া প্রমুখ।
অন্যদিকে প্রায় একই দাবিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা সংগঠনের পক্ষ থেকেও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে অনলাইনে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কমিটির পক্ষে রামচন্দ্র সাঁতরা ও ডাঃ জয়দেব ঘড়া বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আমরা ওই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত দাবি করছি।