Kultali, Girl, সামাজিক মাধ্যমে প্রবল উপস্থিতি কুলতলির বালিকার

আমাদের ভারত, কলকাতা, ৬ অক্টোবর: কুলতলির বালিকা এখন প্রবল মাত্রা পাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। মানুষের আবেগ, অনুভূতি, রাগ-দ্বেষ সব যেন এই মাধ্যমে ফুটে উঠছে নানাভাবে।

বামপন্থী চলচ্চিত্র পরিচালক অনিন্দিতা সর্বাধিকারী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “শ্রীভূমিতে দুর্গা নেই। ৬৪ পল্লী, বকুলবাগান, সঙ্ঘশ্রী, চেতলা সর্বজনীন, টালা প্রত্যয়…না। কোথাও নেই। দুর্গার লাশ পড়ে আছে কুলতলির লাশকাটা ঘরে।” রবিবার দুপুর দেড়টায় প্রতিক্রিয়া হয়েছে ২৮টি।

আইভি তপাদার লিখেছেন, “সমাজে শুধু অসুরের দাপাদাপি, তাই দুর্গারা আজ ভয়ে।” শুভম মুখার্জি লিখেছেন, “সমাজে অসুর তো আগেও ছিল, কিন্তু বর্তমানে দুর্গা ও তার পরিবার অসুর দমনে কেন ব্যর্থ হচ্ছে? এগুলো কি নতুন কোনো বিপ্লবের ইঙ্গিত? এত কিছুর পরেও যারা শ্রীভূমির মোচ্ছবে মাতছে তারাই অসুরদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন না তো?” জবাবে আইভি লিখেছেন, “সব আছে চারিদিকে, শুধু একজন উদয়ন পন্ডিত নেই।” শুভম মুখার্জি লিখেছেন, “আমি নিজে শিক্ষকতার সাথে যুক্ত, তাই আরও লজ্জিত উদয়ন পন্ডিতের অভাবে।” আইভি-র প্রতিক্রিয়া, “আমরা সবাই বড্ড বেশি লজ্জা পাচ্ছি দরকার ঘৃণা পাবার। ঘৃণা করতে না শিখলে আগুন জ্বলবে না। সুজাতা চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “একদম ঠিক কথা।”

সংহিতা রতন গোস্বামী লিখেছেন, “এখন মর্তের দুর্গারা জেগেছে। তাই মা দুর্গার মৃন্ময়ী রূপ নিজেকে শান্ত রেখেছেন। সময় হলে তিনি চামুণ্ডা রূপ নেবেন।” শুভজিৎ ব্যানার্জি লিখেছেন, “কুলতলীর বাচ্চা মেয়েটা পুকুর পাড়ে শুয়ে আছে, নতুন ড্রেস হয়েছে, কি মজা। কি আনন্দ তাই না। ফিরিয়ে দিন ওর প্রাণ, ও উৎসবে ফিরতে চায়। দিতে পারবেন ফিরিয়ে?”

মলয় দত্ত লিখেছেন, “একদম ঠিক বলেছেন।” দিব্যেন্দু দাস বাউল লিখেছেন, “সব লক্ষীশ্রী দিদিদের জানাচ্ছি, এইবার আপনাদের দিদি পৃথিবীর সেরা পুজো করেছে, কুলতলির লাস কাঁটা ঘরে, আপনারা সাথে পিঠে বানিয়ে যাবেন, কারণ নেক্সট আপনার……।”

কুহেলি ঘোষ লিখেছেন, “তাতেও লোকের ভিড়ের কমতি নেই। টিকিট কেটে দুর্গা দেখতে যাচ্ছেন লোকে, দলে দলে।” কুণাল রায় লিখেছেন, “ছবির বদলে গোলাকার পরিচিতি (আইডি)-তে লিখেছেন ‘উৎসবে ফিরছি না’। তিনি মাটির দুর্গা পুজো করে কী হবে, জ্যান্ত দুর্গা যদি নিরাপদ না থাকে।”

পৃথক পোস্টে কালো বাক্সে বড় হরফে কৌশিক চক্রবর্তী লিখেছেন, “দুর্গা মণ্ডপে নেই। দুর্গা মর্গে।” অপর পোস্টে কালো বাক্সে বড় হরফে তিনি লিখেছেন, “নিউটাউন যাত্রাগাছি, ১৬ বছর। জয়নগর, ৯ বছর। দেবীপক্ষ শুরু হয়ে গ্যাছে শুভ চতুর্থী!” আরও একটি পোস্টে কালো বাক্সে বড় হরফে তিনি লিখেছেন, “আশ্বিনের শারদ প্রাতে, এবার বন্দুক থাকবে হাতে..।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *