বালুরঘাটে ক্যাম্পের ভিতরে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে, খুনের মামলা দায়ের বিএসএফের বিরুদ্ধে

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৭ মার্চ: ক্যাম্পের ঘরের ভিতরে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ১৯৯ নং বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করল পুলিশ। মৃতের পরিবারের তরফে করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। একই সাথে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বালুরঘাট থেকে প্রথমে মালদা এবং পরে শিলিগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ২০২০ সালের নতুন আইন অনুযায়ী পুলিশ বা বিএসএফের হেফাজতে থাকালীন কারো মৃত্যু হলে তিন জন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ তথা এম.ডি পদমর্যাদা সম্পন্ন চিকিৎসকদের দিয়েই ময়না তদন্ত করাতে হবে মৃতদেহের। একই সাথে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ডও রাখতে হবে পুলিশকে। সেই পথেই বালুরঘাট থেকে মালদা মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় ময়না তদন্তের জন্য মঙ্গলবার মৃতদেহটিকে শিলিগুড়ি নিয়ে যায় পুলিশ।

সোমবার সকালে বালুরঘাটের কুমারগ্রাম বিওপিতে একটি ঘরে অলক বর্মন নামে চকশীতল এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পরেই মৃতের পরিবারের তরফে বিএসএফের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে বালুরঘাট থানায়। বিএসএফ ওই ঘটনায় আত্মহত্যার তথ্য সামনে আনলেও পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর বিষয় হাতে পায় এবং মৃতের পরিবারের তরফে করা অভিযোগের সত্যতার দিকেই এগোতে থাকে। প্রথমত ওইদিন ক্যাম্পের ঘরে ফ্যানের একটি পাখার সাথে ঝুলতে দেখা যায় মৃতদেহটি। পুলিশের দাবি, কেউ আত্মহত্যা করলে এমনটা কখনোই সম্ভব নয়। একই ভাবে ঘরে আত্মহত্যা করলেও বাইরে কিভাবে রক্ত এল তা নিয়েও খুনের সন্দেহ বাড়িয়েছে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের। পাশাপাশি ঝুলন্ত ওই মৃতদেহের ঘাড়ে কোনও আঘাতের চিহ্নও পায়নি পুলিশ বলেও সুত্রের খবর। শুধু তাই নয়, ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলে গলায় একটি মাত্র আঘাত থাকার কথা থাকলেও এক্ষেত্রে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।

ডিএসপি সদর ধীমান মিত্র জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সমগ্র ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্ত করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *