আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ২২ নভেম্বর: বক্সার জঙ্গলের মাঝ দিয়ে যাওয়া ৩১সি জাতীয় সড়কের উপর ঘুরে বেরালো মা হারা হস্তিশাবক। কার্যত গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু নিশ্চিত ছিল মাত্র ৭ মাসের স্ত্রী হস্তিশাবকটির। তবে শেষ অবদি বনকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে শাবকটিকে উদ্ধার করে।
জানা গেছে, রবিবার পোরো বনবস্তী লাগোয়া জঙ্গলে শনিবার রাতেই ঢুকে পরেছিল বড়সড় একটি হাতির দল। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারাই শাকটিকে বিপজ্জনকভাবে জাতীয়ে সড়কে ছোটাছুটি করতে দেখে বনদফতরে খবর দেন। বক্সার দমনপুর ও নিমাতি দুটি রেঞ্জের বনকর্মীরা হস্তিশাবকটিকে উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রায় একঘন্টা জঙ্গলে জাতিয় সড়কে ছোটাছুটি করে শাবকটি। ঘটনার খবর পেয়েই পোরোবস্তিতে ছুটে আসেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা। প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় রবিবার বেলা আড়াইটে নাগাদ পাকড়াও করা হয় ওই দলছুট শাকবটিকে।
এদিকে, আশপাশের জঙ্গলে কোনো হাতির দলের সন্ধান না মেলায় শাবকটিকে আর তার মায়ের কাছে ফেরানো সম্ভব হয়নি। শারিরীক পরীক্ষায় লক্ষ্য করা গিয়েছে যে এলোপাথাড়ি ছোটাছুটি করার ফলে শাবকটির দেহের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগেছে। তবে তা গুরুতর নয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত জানিয়েছেন,”ঠিক কী কারনে শাবকটি দলছুট হয়েছে তার কারন বলা সম্ভব নয়। তবে বনবস্তিবাসী ও বনকর্মীদের তৎপরতায় বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। শাবকটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তাকে জলদাপাড়ার হস্তিশালায় পাঠানো হয়েছে।জঙ্গলে একা ছেড়ে দিলে তার প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারতো। জলদাপাড়া বনবিভাগের সহ বন্যপ্রান সহায়ক দেবদর্শন রায় বলেন,”৭ মাসের স্ত্রী শাবক।আপাতত হলং পিলখানাতেই থাকবে। গত কয়েকমাসে আজকের শাবকটি ধরলে ৩ হস্তিশাবককে উদ্ধার করে আনা হল।” উল্লেখ্য, হলং পিলখানাই এখন মা হারা হস্তি শাবকটি মাহুতদের কড়া তত্ত্বাবধানে থাকবেন।পরবর্তীতে তাকে প্রশিক্ষন দিয়ে বনদফতরের কাজে লাগানো হবে।