সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি: “ডিজিটাল অ্যারেস্ট” প্রতারণার জাল বাঁকুড়াতেও। বিষ্ণুপুরের এক বাসিন্দাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয়েছে বলে ফোন মারফত জানানো হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের ৩জন গুজরাট ও ১জন তেলেঙ্গানার বাসিন্দা। “ডিজিটাল গ্রেফতার” প্রতারণা বাঁকুড়াতেও জাল ছড়ানোয় উদ্বিগ্ন জেলাবাসী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, ১৯ জানুয়ারি বিষ্ণুপুর শহরের আবরারমাঠ এলাকার শ্যামপদ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি “ডিজিটাল গ্রেফতার” হয়েছেন বলে বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ জানান। গত ১৭ জানুয়ারি তিনি একটি ফোন কল পান যে, মুম্বাই কাস্টমস তার কিছু জিনিসপত্র আটক করেছে। সেই জিনিষপত্রের ভিত্তিতে তিনি অর্থ পাচারে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।তিনি ১০২১০০০ টাকা প্রতারণা করেছেন বলে জানাগেছে। তাই তাকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর মাধ্যমে অনলাইন হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এই অভিযোগ পেয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ একটি তদন্তকারী দল তৈরি করে তদন্তে নামে। দীর্ঘ অভিযানের পর চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয় পুলিশ।গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে গৌরাঙ্গ গজ্জর ও সাবরকন্থার থেকে সাহিল প্যাটেল, চানসমা থেকে ঠাকুর আনন্দ কুমার ও তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদের ভবানীনগর থেকে সৈয়দ ইউসুফ শরিফ ওরফে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।তাদের ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে বিষ্ণুপুরে আনা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে যে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। বিষ্ণুপুর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, নাগরিকদের এই ধরনের প্রতারণামূলক ফোন কলগুলিতে মনোযোগ না দেওয়া এবং জাতীয় সাইবার ক্রাইম পোর্টাল www.cybercrime.gov.in অথবা 1930 নম্বরে জানানোর জন্য সকলের কাছে অনুরোধ করে চলেছেন। “ডিজিটাল অ্যারেস্ট” নামে কোনও আইনি প্রক্রিয়া নেই।