সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ৮ ডিসেম্বর:
এভাবেও যে কেউ চরস পাচার করতে পারে জানতে পেরে হতবাক কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারা। শনিবার রাতে জোকার অভিজাত আবাসনে হানা দিয়ে চক্ষু রীতিমতো চড়কগাছ পুলিশের। শুকনো খেজুরের প্যাকেটের মধ্যে করে পাচার হচ্ছিল চরসের গুলি। শনিবার রাতে এমনই এক মাদক পাচার চক্রের হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রশান্ত দাস, জাকির হোসেন এবং মাসুক আহমেদ নামে তিন পাচারকারীকে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২০ কেজি চরস, যার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য কোটি টাকারও বেশি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার বেশি রাতে জোকার ওই আবাসনের ১৪ নম্বর টাওয়ারের ২বি ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে বাস করছিলেন প্রশান্ত দাস নামে এক ব্যক্তি। আর তাকে এই সমস্ত মাদক সরবরাহ দিতে আসতেন জাকির এবং মাসুক।
জানা গিয়েছে, নেপাল থেকে বীরগঞ্জ হয়ে বিহারে রক্সৌল সীমান্ত দিয়ে সড়ক পথে ভারতে এসে পৌঁছয় ওই চরস। এরপর সেই চরস ট্রেনে করে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। শহরে ওই মাদক আনার পর খেজুরের প্যাকেটে ভরে পাচার করা হত। জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, চরসের সঙ্গে সমান পরিমাণ খেজুর মেশানো হত, যাতে বোঝা না যায় যে খেজুরের প্যাকেটে অন্য কিছু আছে।
শুকনো খেজুরও একটু কালচে রঙের হয়। চরসের গুলিও কালচে। এর পর সেই খেজুর ভর্তি প্যাকেট সুটকেসে ভরে নিয়ে যাত্রী সেজে মাদক পাচারকারীরা পাড়ি দিতেন চিনের কুনমিংয়ে। রবিবার সকালেই কুনমিংয়ের বিমান ধরার কথা ছিল প্রশান্তদের। বিমানের টিকিটও পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কুনমিংয়ে পৌঁছনোর পর সেখান থেকে চরস নিয়ে হংকং রওনা দিত অন্য একটি দল। তার আগেই মাদকচক্র পাকড়াও করে ফেলেন গোয়েন্দারা।