আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ জুন: পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের বিরোধীদের ভাঙিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। শালবনির পর শুক্রবার কেশিয়াড়িতেও বিজেপি থেকে তৃণমূলে ২০০ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ২৫টি আসনের মধ্যে ২৩টি দখল করে বিজেপি। ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬টি দখল করে বিজেপি। এরপর কেশিয়াড়িতে শুরু হয় বিজেপি দমন রাজনীতি। আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়া সহ বিভিন্ন অজুহাতে জেলা প্রশাসন বিজেপিকে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করতে দেয়নি বলে অভিযোগ। বিজেপির দখলে থাকা ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ২টি হাতছাড়া হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত বিজেপি সদস্যকে তৃণমূলের যেতে বাধ্য করা হয়েছে। শুক্রবার কেশিয়াড়ির ২ নম্বর খাজরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির নির্বাচিত সদস্য বিশ্বজিৎ সিং ও বুথ সভাপতি দিলীপ দাসের নেতৃত্বে ওই এলাকার বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে জানা গেছে।
২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে থেকেই কেশিয়াড়িকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। বিজেপির নির্বাচিত সদস্যদের ব্রাত্য করে দিতে কেশিয়াড়িতে দু-দুবার সভা করে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন কেশিয়াড়ির মানুষের সব ধরণের কাজ সরাসরি জেলা পরিষদ ও ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে করে দেওয়া হবে। বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের ওপর তাঁদের আর নির্ভর করতে হবে না। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বিজেপির জেলা ও রাজ্য
নেতৃত্ব। কিন্তু সেসব অভিযোগ বা প্রতিবাদকে কোনও রকম গুরুত্ব না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তার আগ্রাসী মানসিকতা চরিতার্থ করেছেন বলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, কেশিয়াড়ির তৃণমূল বিধায়ক পরেশ মুর্মু। অজিতবাবু ও পরেশবাবু দুজনেই জানান, দু একদিনের মধ্যেই কেশিয়াড়ি থেকে আরও একঝাঁক
বিজেপি নেতাকর্মীকে তৃণমূলের পতাকা ধরানো হবে।