পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৮ জুলাই: বিদ্যুতের মিনিমাম ও ফিক্সড চার্জ বৃদ্ধির প্রতিবাদ সহ প্রিপেইড স্মার্ট মিটার লাগানোর চক্রান্ত রুখতে গ্রাহক প্রতিরোধ আন্দোলনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির আহ্বানে অনুষ্ঠিত হলো সম্মেলন। আজ তমলুকের ব্রহ্মা বারোয়ারি হলে প্রয়াত নারায়ণ চন্দ্র দাস মঞ্চে এই সপ্তদশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এই উপলক্ষে একটি সুসজ্জিত মিছিল তমলুক হাসপাতাল মোড় থেকে সম্মেলনস্থল পর্যন্ত যায়। শহিদ বেদীতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মেলনের কাজ। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক জয়মোহন পাল। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার সংগঠনের সূচনা পর্বে সংগঠন গড়ে তোলার অন্যতম নেতৃত্ব প্রয়াত নারায়ণ চন্দ্র দাসের প্রতি শোক জ্ঞাপন করা হয়। সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করেন জেলা কমিটির সম্পাদক প্রদীপ দাস। আয়-ব্যয়ের হিসাব পেশ করেন কোষাধ্যক্ষ ও অফিস সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক। সম্মেলনে তিন শতাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক যোগ দেন। সভায় মূল বক্তব্য রাখেন, অ্যাবেকার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নীরেন কর্মকার ও অশোক তরু প্রধান। নীরেনবাবু তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৪৮ সালে যখন বিদ্যুৎ পর্ষদ তৈরি হয়, তখন সরকারি খরচেই বিদ্যুতের পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। আজ সেই পরিকাঠামোকে গোয়েঙ্কা, আম্বানি, আদানি সহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মুনাফা সুনিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। ছোট ছোট ক্ষেত্র তৈরি করে তা কোম্পানিকরণ, বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। প্রিপেইড স্মার্ট মিটার চালু করা তারই একটি অন্যতম পদক্ষেপ। এই আক্রমণ রুখে দেওয়ার জন্য তিনি সর্ব স্তরের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের আহ্বান জানান।
সভা থেকে জয়মোহন পালকে সভাপতি, শংকর মালাকারকে সম্পাদক, নারায়ণ চন্দ্র নায়ককে অফিস সম্পাদক করে ৬০ জনের অ্যাবেকার নূতন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি গঠিত হয়। জেলাজুড়ে শক্তিশালী বিদ্যুৎ গ্রাহক আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার করে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটে।