BN Bose Hospital, ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালের নিরাপত্তায়, জোর, লাগানো হল ১২০ টি সিসিটিভি

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর, ২৮ সেপ্টেম্বর:
ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালের ডাক্তারদের ও রোগীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এক ধাপ এগলো প্রশাসন। হাসপাতাল মুড়িয়ে দেওয়া হলো সিসি টিভি ক্যামেরার নিরাপত্তায়।

ব্যারাকপুর মহকুমার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাসপাতাল হল ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতাল। আরজি কর হাসপাতালে নারকীয় ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের আন্দোলনে বারবার হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছেন। তারা নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের কাছে।

তাই ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত সাগরদত্ত হাসপাতালে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে হাসপাতাল চত্বরে তৈরি করা হয়েছে পুলিশের স্থায়ী চেকপোস্ট।

ঠিক তেমনি ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তা আরো জোরদার করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১২০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে আপাতত মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা হাসপাতালকে।এমনকি পুলিশি নিরাপত্তাও জোরদার করেছে প্রশাসন। মূলত হাসপাতালে রোগী ভর্তি করার সময় অযথা লোকজন এসে ভিড় করে থাকেন এতে ডাক্তারদের কাজ করতে অসুবিধা হয়। আবার অনেক সময় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে ডাক্তারদের হেনস্থা করা হয় থাকে। সেই বিষয়গুলি যাতে বি এন বসু হাসপাতালে না হয় তাই বিশেষ নজর দেওয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে প্রশাসনের। আর সেই দিক থেকে সিসি টিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে হাসপাতালে বলে সূত্রের খবর।

এদিন গোটা বিষয় নিয়ে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুরো হাসপাতালটি মনিটরিং করার জন্য একাধিক জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা ও তা দেখভাল করার জন্য সবরকম বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। আগেও এই হাসপাতালে সিসি টিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা ছিল কিন্তু এবার হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে সিসি ক্যামেরা লাগানো হলো। এটা সম্পূর্ণ ভাবে সাধারণ মানুষ ও ডাক্তার, হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বসানো হয়েছে।
এমনকি হাসপাতালের মধ্যে পুলিশের তরফ থেকে অস্থায়ী আউটপোষ্ট তৈরী করা হছে। যেখানে একজন পুলিশ আধিকারিক থাকবেন এবং সিভিক পুলিশ ও অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা থাকবেন হাসপাতালের নিরাপত্তার স্বার্থে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *