সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৫ ডিসেম্বর: পার্সপোট জালিয়াতি কান্ডে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাংলাদেশি জঙ্গির রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর টনক নড়েছে পুলিশের। জাল পাসপোর্ট চক্রের পর্দা ফাঁস করতে ময়দানে নেমেছে গোয়েন্দা বিভাগ। আর সেই তদন্তে বড়দিনের সকালে গ্রেফতার হলো আরও ১ জন। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকে আরও ১ জনকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। এই নিয়ে জাল পাসপোর্ট চক্র চালানোর অভিযোগে গত ৩ দিনে গ্রেফতার হলেন ৩ জন। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক পার্সপোট, এটিএম কার্ড, প্যান কার্ড-সহ বেশ কিছু নথি। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মোক্তার আলম।
মৌলবাদীদের দাপটে উত্তাল বাংলাদেশ। চরমে হিন্দু নির্যাতন। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, অনেকেই চেষ্টা করছেন কোনওক্রমে ভারতে চলে আসার। এদিকে সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে গত ১৫ ডিসেম্বর ভারতের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সমরেশ বিশ্বাস ও দীপক মণ্ডলকে। তাঁদের জেরা করেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় প্রচুর জাল নথি, এসবিআই ও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের সিল, একাধিক ভারতীয় পাসপোর্টের ফটোকপি এবং ব্রিটেনের ভিসা।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে জাল নথি তৈরির অভিযোগে চুঁচুড়া থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন মোক্তার। তার পর কয়েকমাস জেলবন্দি ছিলেন তিনি। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সে ফের পুরনো কারবারে নেমে পড়েছে।
জাল পাসপোর্ট চক্রের তদন্তে নেমে গত ২৩ ডিসেম্বর বারাসত থেকে সমরেশ বিশ্বাস ও তাঁর ছেলে লিটনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের সিকিওরিটি কন্ট্রোল বিভাগ। তাদের বাড়ি থেকে প্রচুর জাল নথি ও নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই সমরেশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরেছেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। সেই সমরেশকে জেরা করেই মোক্তারের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃতরা কাকে কাকে জাল পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি বানিয়ে দিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।