আমাদের ভারত, ১৪ আগস্ট: “আশ্চর্যজনক মনে হতেই পারে। পশ্চিমবঙ্গে ঘটে যাওয়া নারকীয়, পৈশাচিক ঘটনার পর যখন একযোগে বাংলার সমস্ত মেয়েরা বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন, তখন তাঁরা অকস্মাৎ এতো নীরব কেন? কেন এমন মৌনব্রত?”
তৃণমূলের ১১ জন মহিলা সাংসদের ছবি-সহ এক্স হ্যান্ডলে এই মন্তব্য করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বুধবার লিখেছেন, “যে মুখে দিনরাত কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে হাজারো প্রশ্ন ভিড় করে আসতো, প্রধানমন্ত্রী থেকে অর্থমন্ত্রীর শিক্ষাগত এবং প্রশাসনিক যোগ্যতা, দক্ষতা নিয়ে বেসুরো বক্তব্য ভেসে বেড়াতো, সেই মুখে কলকাতার ‘নির্ভয়া’-কে নিয়ে আজ একটি মাত্র শব্দও উচ্চারিত হচ্ছে না!
তাঁরা কি তবে বাকশক্তি হারালেন? নাকি, তাঁরা ঘটনার নারকীয়তায় বাকরুদ্ধ? নাকি, তাঁরা মেরুদণ্ডহীন রাজ্য সরকারের অক্ষমতায় লজ্জিত? কিন্তু তাও যদি হয়, আমার বাংলার সমস্ত মা বোনেদের মতো তাঁরাও তো নামতে পারতেন পথে। রাজ্যের সমস্ত নারীদের সুরক্ষা-সম্ভ্রমের প্রশ্নে তাঁদেরও তো সামনের সারিতে দেখা যেতো।
কিন্তু হায়! কোটি কোটি মানুষের সম্মানীয় জনপ্রতিনিধিরা আজ সহসা উধাও। যেন কোনও এক গোপন অজ্ঞাতবাসে নিজেদের লুকিয়ে ফেলেছেন আমার এই দিদিরা।
আপনাদের ভাই হিসেবে আমার একটা ছোট্ট পরামর্শ রাখবেন দিদি? ব্যর্থতা ভুলে একবার অন্তত সামনে এসে দাঁড়ান। সাহস দিন। আওয়াজ তুলুন। গর্জে উঠুন। রাজনীতির রং ভুলে ছোট ছোট ওই মেয়েগুলোর সুরক্ষার পক্ষে পাশে দাঁড়ান।
অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পক্ষে আওয়াজ আরও জোরালো হোক।”
Absolutely true.