আমাদের ভারত, ১৫ মে :করোনা সংকট মোকাবেলার জন্য ভারতকে বিশ্বব্যাংকের বড়সড় সামাজিক সুরক্ষা প্যাকেজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল। মোদী সরকারের কাজের জন্য বিশ্বব্যাংক ১ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ভারতের জন্য।
বিশ্বব্যাংকের নির্দেশক জুনেদ আহমেদ জানান, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং-র কারণে অর্থব্যবস্থা প্রায় তলানিতে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের গরিব কল্যাণ যোজনা দিকে নজর দিয়েছে। গরিব ও দুর্বল শ্রেণির মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের তরফে দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।
সারা দুনিয়া জুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের চর্চা শুরু হয়েছে। ভারতের অর্থনীতিকে সচল রাখতে কুড়ি লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে মোদী সরকার যা নজর কেড়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের। ভারত সরকারের এই বিশাল আর্থিক প্যাকেজের প্রশংসা করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরাও। এই প্যাকেজ ভারতের জিডিপির ১০%। এই প্যাকেজ উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে বৃহত্তম আর্থিক প্যাকেজ। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এই প্যাকেজ সারা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে বড় তো বটেই, এমনকি অনেক উন্নত দেশগুলির থেকেও বড়। বিশ্বে ভারতের থেকে বড় প্যাকেজ ঘোষণা করেছে শুধুমাত্র দুটি দেশ। বৃহত্তম প্যাকেজ ঘোষণা করেছে জাপান। তাদের জিডিপির ২১%। দ্বিতীয় বৃহত্তম প্যাকেজ ঘোষণা করেছে আমেরিকা। তারা তাদের জিডিপি ১৩% প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তারপরই রয়েছে ভারতের স্থান।
বিশ্বব্যাংকের দেওয়া টাকার ব্যবহার দেশের করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা করা, হাসপাতালগুলোকে উন্নত করা,ল্যাব তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে। করোনা সংকটে পরিযায়ী শ্রমিক এবং শহরের গরিবদের জন্য এই ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের তরফে। বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে ভারতকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং সরকারের ৪০০–র বেশি সামাজিক সুরক্ষা সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিকে প্রযুক্তির পর্যায়ে নিয়ে যেতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বিশ্বব্যাংক ২৫টি উন্নয়নশীল দেশের জন্য আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছিল। ব্যাংক জানিয়েছে ভারতকে এই ঋণ দেওয়ার প্রধান কারণ ভারত যেনো করোনা সংক্রমণ রাখার জন্য সাহায্য পায় আর। করোনার আর করোনার কারণে হওয়া মানবিক, সামাজিক ও আর্থিক ক্ষতি কিছুটা কম করা যায়।
তবে করোনা ভাইরাস এর প্রকোপ ভারতে লাগাতার বাড়ছে। এখনো ৫১ হাজারের উপর অ্যাকটিভ কেস রয়েছে ভারতে। ২৬৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ২৮ হাজার রোগী এই মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।